পায়ে পায়ে: রিপন স্ট্রিট থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত বামদের মিছিল। রয়েছেন সূর্যকান্ত মিশ্র। বুধবার। নিজস্ব চিত্র
পুলিশ-প্রশাসনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই নবান্ন অভিযান করতে অনড় বামপন্থী যুব ও ছাত্রেরা। কোন পথ ধরে মিছিল হতে পারে, তা নিয়ে বুধবার রাত পর্যন্ত পুলিশের সঙ্গে বাম যুব নেতৃত্বের দফায় দফায় আলোচনাতেও কোনও সূত্র বেরোয়নি। বাম নেতৃত্ব হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন, পুলিশ বাধা দিলে যে কোনও পরিস্থিতিই তৈরি হতে পারে। ফলে, সংঘাতের আবহেই আজ, বৃহস্পতিবার নবান্ন অভিযানে যাচ্ছেন বাম যুব ও ছাত্র সংগঠনের কর্মী-সমর্থকেরা।
কর্মসংস্থান ও শিল্পের দাবিতে এবং রাজ্যে সরকার বদলের ডাক দিয়ে আজ নবান্ন অভিযানের কর্মসূচি নিয়েছে ১০টি বামপন্থী যুব ও ছাত্র সংগঠন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবিও রয়েছে তাদের। নবান্ন অভিযানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বামফ্রন্টের বাইরে সহযোগী কিছু দল এবং কংগ্রেসের গণসংগঠনকেও। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, আজ কলেজ স্কোয়ারে ছাত্র-যুব জমায়েত হওয়ার কথা। তার পরে শুরু হবে মিছিল। পুলিশ-প্রশাসন কোথায় কী ভাবে মিছিলের গতিপথ নিয়ন্ত্রণ করবে, তার উপরেই পরিস্থিতি নির্ভর করবে বলে উদ্যোক্তাদের বক্তব্য। নবান্ন যাওয়ার পথে বাধা পেলে তাঁরা অবরোধে বসে পড়তে পারেন বলেও বাম যুব ও ছাত্র নেতৃত্ব জানিয়ে রেখেছেন।
সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সায়নদীপ মিত্র এ দিন বলেছেন, ‘‘আগের হুঁশিয়ারির পরে আমাদের চিঠি পুলিশ নিয়েছে। কিন্তু আমাদের কোনও প্রস্তাবই পুলিশ মানতে রাজি হয়নি। আমাদের লক্ষ্য, নবান্নে যাওয়া এবং এই সরকারকে ‘রিলিজ় অর্ডার’ দেওয়া। বাধা পেলে যা পরিস্থিতি হবে, তার দায় পুলিশ-প্রশাসনের।’’ প্রসঙ্গত, কর্মপ্রার্থীদের প্রতীকী দরখাস্ত নিয়ে বাম যুব ও ছাত্রদের বিগত নবান্ন অভিযানে ধুন্ধুমার বেধেছিল। লাঠি ও জলকামান চালিয়েছিল পুলিশ। আহত হয়েছিলেন অনেকে।
বামপন্থী ও অন্যান্য গণতান্ত্রিক মহিলা সংগঠনের আইন অমান্য অভিযানের কর্মসূচি ঘিরে মঙ্গলবারই ধুন্ধুমার বেধেছিল ধর্মতলা এলাকায়। মহিলাদের মিছিলে পুলিশ আক্রমণ করেছে, এই অভিযোগে এ দিন রাজ্য জুড়ে ‘ধিক্কার’ কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল বাম ও কংগ্রেস। রিপন স্ট্রিট থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত সন্ধ্যায় প্রতিবাদ মিছিল হয় কলকাতা জেলা সিপিএমের উদ্যোগে। ওই মিছিলে ছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy