বিদ্যুৎ জমানার পরেই বিশ্বভারতীতে ‘কন্যাশ্রী’ চালুর আবেদন। —নিজস্ব চিত্র।
প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর আমলে বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল রাজ্য সরকারি প্রকল্প ‘কন্যাশ্রী’। বিদ্যুৎ-জমানা শেষ হতেই আবার যাতে বিশ্বভারতীর শিক্ষাসত্র ও পাঠভবনের পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীরা কন্যাশ্রী প্রকল্পের সুবিধা পায়, তার ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানিয়ে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সঞ্জয়কুমার মল্লিককে চিঠি দিলেন অভিভাবকদের একাংশ।
বিদ্যুতের সময়কালে একাধিক বার রাজ্য সরকারের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছিলেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সেই আবহে ২০২১ সালে বিশ্বভারতীতে কন্যাশ্রী প্রকল্পের সুবিধা বন্ধ হয়ে যায়। অভিভাবকদের বক্তব্য, যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও তাঁদের মেয়েরা কন্যাশ্রীর সুবিধা পাচ্ছেন না। কিন্তু কয়েক বছর আগেও দুই স্কুলের মেয়েরা ওই সুবিধা পেত। বিশ্বভারতী সূত্রে খবর, শিক্ষাসত্র ও পাঠভবনের অধিকাংশ পড়ুয়াই গরিব পরিবারের। তাদের জন্য যাতে কন্যাশ্রীর ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়, তার অনুরোধ করেছে অভিভাবকেরা। শুধু বিশ্বভারতীর উপাচার্যই নয়, বোলপুরের মহকুমাশাসক অয়ন নাগকেও চিঠি দিয়েছেন অভিভাবকেরা। সেই চিঠিতে সই করেছেন অন্তত ২৫ জন।
বিশ্বভারতীতে বিদ্যুতের সময়কালে তাঁর একাধিক সিদ্ধান্তে তোলপাড় হয়েছে বিশ্বভারতী। সেই বিতর্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণ ছাড়িয়ে রাজনীতির আঙিনায় চলে গিয়েছে। কখনও বিদ্যুৎ বিধানসভা ভোটে বিজেপির পরাজয় নিয়ে সেমিনারের আয়োজন করে সমালোচনার মুখে পড়েছেন। কখনও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন, তো কখনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছেন। পাল্টা মুখ্যমন্ত্রীও তাঁকে কটাক্ষ করেছেন। সেই আবহেই পাঠভবন ও শিক্ষাসত্রে কন্যাশ্রীর সুবিধা বন্ধ হয়ে যায়। বিদ্যুৎ পরবর্তী সময়ে তা আবার চালু হবে কি না, এখন তা-ই দেখার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy