Advertisement
১৭ মে ২০২৪
আয়োজনে ভারতের ডাকবিভাগ

গাঁধী জন্মজয়ন্তীতে চিঠি প্রতিযোগিতা

ডাকবিভাগের আধিকারিকদের ব্যাখ্যা: হোয়াটস্অ্যাপ, ফেসবুকের ম্যাসেঞ্জারে, টুইটারে অনবরত বার্তা আদান-প্রদান করা হলেও এ সবের শুরুটা হয়েছিল চিঠি দিয়ে। সেটাই হারাতে বসেছে। বিশেষ করে বর্তমান প্রজন্মের কাছে। গাঁধীর জন্মদিনে সেই চিঠি লেখার স্বাদকে উস্কে দিতেই এমন ভাবনা।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
সিউড়ি শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০১৭ ১৯:০০
Share: Save:

‘গুড মর্নিং মুম্বই। দিস ইস জানভি (জাহ্নবী) ফ্রম ওয়ার্ড স্পেস রেডিও...।’

বছর কয়েক আগে ‘লগে রহো মুন্নাভাই’ ছবিতে রেডিও জকি জাহ্নবী চরিত্রে বিদ্যা বালনের এই সংলাপ অনেকেরই মনে আছে। মনে আছে, ২ অক্টোবর মহাত্মা গাঁধীর জন্মদিনে ‘বাপু’কে নিয়ে অনলাইন ক্যুইজ প্রতিযোগিতার কথা।
ছবির মূল চরিত্র মূরলিধর শর্মা নায়িকার মন পেতে গাঁধীকে নিয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। ডাক বিভাগের সৌজন্যে মহাত্মা গাঁধী নিয়ে এ বার চর্চা করতে হবে দেশবাসীকেও। আগামী ২ অক্টোবর, গাঁধীজয়ন্তী উপলক্ষে দেশ জুড়ে চিঠি লেখার প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে ডাক বিভাগ। চিঠি লিখতে হবে ‘বাপু’কেই। সম্বোধন করতে হবে ডিয়ার বাপু বা বাপুজি।

ডাক বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই সেই প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। প্রচারও শুরু হয়েছে। ঠিক হয়েছে, ২৪ তারিখ থেকে দেশের যে কোনও পত্রলেখক তাঁদের প্রিয় বাপুকে চিঠি লেখার সুযোগ পাবেন। তবে কী লিখতে হবে, সেটা নির্দিষ্ট করেনি ডাকবিভাগ। চিঠি পাঠানোর শেষ সময়সীমা ১৫ অগস্ট। এ রাজ্যে বসবাসকারীরা ইংরেজি, বাংলা অথবা হিন্দি— এই তিনটি ভাষায় চিঠি লিখতে পারেন। পত্র-প্রেরকরা ডাক বিভাগের ‘ইনল্যান্ড’ বা ‘এনভেলপে’ চিঠি পাঠাবেন। ইনল্যান্ডের ক্ষেত্রে শব্দ সংখ্যা ৫০০। এনভেলপ হলে শব্দ সংখ্যা সীমিত থাকবে ১০০০ এর মধ্যে। এ রাজ্যের পত্র প্রেরকরা চিঠি পাঠাবেন ‘চিফ পোস্টমাস্টার জেনারেল, কলকাতা’ এই ঠিকানায়।

এমন ভাবনা কেন?

ডাকবিভাগের আধিকারিকদের ব্যাখ্যা: হোয়াটস্অ্যাপ, ফেসবুকের ম্যাসেঞ্জারে, টুইটারে অনবরত বার্তা আদান-প্রদান করা হলেও এ সবের শুরুটা হয়েছিল চিঠি দিয়ে। সেটাই হারাতে বসেছে। বিশেষ করে বর্তমান প্রজন্মের কাছে। গাঁধীর জন্মদিনে
সেই চিঠি লেখার স্বাদকে উস্কে দিতেই এমন ভাবনা।

জেলা পোস্টাল সুপারিনটেনডেন্ট কাশীনাথ ঘোষ বলছেন, ‘‘ডাকবিভাগের প্রয়াসকে সফল করতে যত বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে এই প্রতিযোগিতার বার্তা পৌঁছে দিতে শুরু করেছি।’’ এ রাজ্য থেকে পাঠানো চিঠি দেখে পুরস্কার প্রাপকদের নাম স্থির করতে তৈরি হয়েছে কমিটি। প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়কে পুরস্কৃত করা হলেও, মোট ১০ জন বাছাই পত্র প্রেরক ফের সুযোগ পাবেন। তাঁরা দেশ জুড়ে পরবর্তী প্রতিযোগিতায় নামার সুযোগ পাবেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE