বিধানসভা ভোটের প্রচারে সারদার সঙ্গে নারদ-কাণ্ডও ছিল তাদের প্রচারের বড় হাতিয়ার। তার পরেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের বিপুল জয় বিরোধীদের পালের হাওয়া কেড়ে নিয়েছিল। হাইকোর্টের রায়ের জেরে ফের নারদ-হুল ফিরে এল বিরোধীদের হাতে! অভিযুক্ত মন্ত্রীদের ইস্তফা বা অপসারণ দাবি করে রাস্তায় মিছিল, রাজভবনে দরবার— সবই জোর কদমে শুরু হয়ে গেল শুক্রবার।
সারদা-কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্ট দিয়েছিল কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নানের দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে। নারদ-কাণ্ডে জনস্বার্থের মামলায় অন্যতম আবেদনকারী ছিলেন আর এক প্রদেশ কংগ্রেস নেতা অমিতাভ চক্রবর্তী। দুই ক্ষেত্রেই আইনি লড়াইয়ে বিশেষ ভূমিকা ছিল সিপিএমের আইনজীবী-নেতা বিকাশ ভট্টাচার্যের। কাজেই সারদা ও নারদ, জোড়া মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে কংগ্রেস ও বাম শিবির তাদের লড়াইয়ের ফসল হিসাবেই দেখছে।
বিরোধীদের এখন মূল প্রশ্ন দু’টো। মুখ্যমন্ত্রী মমতা গত বছর দাবি করেছিলেন, নারদের ফুটেজ জাল। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ যখন জানিয়ে দিয়েছে ফুটেজে কোনও জালিয়াতি হয়নি, তখন মুখ্যমন্ত্রীর পদক্ষেপ জানতে চায় তারা। আর দ্বিতীয়ত, বিধানসভা ভোটের প্রচারে মমতা মন্তব্য করেছিলেন, আগে জানলে অভিযুক্তদের তিনি টিকিট দিতেন না। বিরোধীদের দাবি, হাইকোর্ট এমন দুর্নীতির মামলায় কড়া মন্তব্য করার পরে মুখ্যমন্ত্রী তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত অভিযুক্ত নেতা-সাংসদদের সাসপেন্ড করুন।