খুনের মামলায় বাবা-মায়ের যাবজ্জীবন সাজা হওয়ার পরেই নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে তাঁদের দুই মেয়ে। সেই থেকে জেলবন্দি দম্পতি দুই মেয়েকে খুঁজে বার করে দেখা করানোর জন্য বার বার আবেদন করছেন। কিন্তু, প্রায় এক যুগ পেরোলেও সাড়া মেলেনি। সাজাপ্রাপ্ত দম্পতির নাম নিতাই ও ফরিদা মালাকার। দুজনে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট কেন্দ্রীয় সংশোধাগারে বন্দি।
বাবা মায়ের যাবজ্জীবন সাজা হওয়ার কিছু দিন পর দুই নাবালিকা বোন সারবানু (১৩) এবং আরমিনা (১১) নিখোঁজ হয়ে যায়। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেবাশিস নন্দী বলেন, ‘‘আত্মীয়রা নতুন অভিযোগ জানালে তদন্ত করে দেখব।’’
বালুরঘাটের পতিরাম লাগোয়া কুমারগঞ্জ থানার শ্যামগর এলাকার বাসিন্দা নিতাই ও তার স্ত্রী ফরিদা ২০০৬ সালে একটি খুনের মামলায় অভিযুক্ত হন। ২০০৭ সালে বিচারে তাঁদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। নিতাইবাবুর ভাই নিমাই বলেন, ‘‘দাদা ভিন ধর্মে বিয়ে করায় কোনও আত্মীয় তাঁদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখেনি। এমনকি বৌদির বাবার বাড়ির লোকেরাও মেয়েদের খোঁজ নিতেন না। ফলে ওরা দুই বোন এ দিক সে দিক ঘুরে বেড়াত। ভিক্ষে করে দিন কাটছিল ওদের। হঠাৎ ওরা এলাকা থেকে উধাও হয়ে যায়।’’
জেলবন্দি নিতাইবাবু দুই মেয়েকে দেখতে চেয়ে সে সময় একাধিকবার জেল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেন। বহরমপুর জেল ঘুরে বর্তমানে তিনি বালুরঘাট জেলে। সম্পর্কে কাকা নিমাইবাবু ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে বালুরঘাট থানায় লিখিত আবেদন করে নিখোঁজ ভাইঝিদের উদ্ধারের আবেদন জানান। কিন্তু বছরের পর বছর কেটে গিয়েছে। সারবানু ও আরমিনার হদিস মেলেনি। জেলা চাইল্ড লাইনের কো অর্ডিনেটর সুরজ দাসের দাবি, ‘‘দুই বোনের খোঁজ নিতে গিয়ে শোনা গিয়েছে এক মহিলা তাদের ফুঁসলে অন্যত্র নিয়ে গিয়েছে।’’
সেই মহিলার নামও পুলিশের কাছে পৌঁছেছে। সুরজ বলেন, ‘‘পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়েছিল। দেখা যাক কী হয়!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy