বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ ও চাকরিপ্রার্থীদের উপর পুলিশি অভিযানের প্রতিবাদে এ বার দিল্লিতে সক্রিয় হতে চাইছে বিজেপি। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের কাছে যাবেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। এই উদ্যোগকে অবশ্য বিজেপির ‘রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির চেষ্টা’ হিসেবে দেখছে তৃণমূল কংগ্রেস।
নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে রাজনৈতিক স্তরে চাপানউতোর চলছিলই। তাতে ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে করুণাময়ীতে চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান ভাঙতে পুলিশি অভিযান। শনিবার এ নিয়ে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সিউড়িতে তিনি বলেন, ‘‘একমাত্র সমাধান ১৪ তলা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গণতান্ত্রিক ভাবে বিসর্জন দেওয়া। যতক্ষণ না মমতার হাত থেকে এ রাজ্য রক্ষা পাচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত মেধা যুক্ত বেকার যুবক যুবতীর স্বপ্ন পূরণ হতে পারে না।’’
বিরোধীদের এই অভিযোগ অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এ দিন বীরভূমে একটি দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসে ফিরহাদ বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী অন্যায় করেন না, অন্যায় সহ্য করেন না। টেট পাশ করলেই তো চাকরি হবে না। ইন্টারভিউ-তে পাশ করতে হবে।’’
দিল্লিতে লকেট বলেন, ‘‘অমানবিক ভাবে পুলিশ দিয়ে ওই প্রার্থীদের ধর্নাস্থল থেকে তুলে দেওয়া হয়েছে। দল চাকুরিপ্রার্থীদের ওই আন্দোলনের পাশে রয়েছে।’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘অভিযান নিয়ে বিতর্ক তৈরি হলে মূল দুর্নীতির বিষয়টি চাপা পড়ে যাবে। সে লক্ষ্যেই বলপ্রয়োগ করে ওই চাকুরিপ্রার্থীদের তুলে দেওয়া হয়েছে। যাতে বিষয়টি নিয়ে হইচই হয় আর লোকে দুর্নীতির কথা ভুলে যায়।’’ এ দিন বিজেপির একটি শিক্ষক সেলের মিছিল দলের রাজ্য দফতর মুরলীধর সেন লেন থেকে বেরিয়ে গান্ধী মূর্তির দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে ধর্মতলায় পুলিশ আটকায়।
পুলিশি অভিযান নিয়ে একাধিক জেলায় বিক্ষোভ মিছিল করে সিপিএমও। বনগাঁয় দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘যারা ছাত্রছাত্রীদের চাকরি চুরি করল পুলিশ তাদের স্যালুট ঠুকল আর চাকরিপ্রার্থীদের ঠ্যাঙালো।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy