Advertisement
E-Paper

দ্বিতীয় পর্বে আধাসেনা ৮০% বুথে

দ্বিতীয় দফায় ১৯৪ কোম্পানি আধাসেনা ব্যবহারের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০১৯ ০১:২৫
—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে ৩৪০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহারের পরিকল্পনা করেছিল নির্বাচন কমিশন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনায় স্থির হয়েছিল, অতিরিক্ত ৬০ কোম্পানি আধাসেনাকেও কাজে লাগানো হতে পারে। এক দিনের ব্যবধানে সেই বিষয়টি চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। ফলে দ্বিতীয় দফার আগে আসা ৬০ কোম্পানি বাহিনী নামানো হতে পারে অন্যান্য দফার ভোটেও। সে-ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত কমিশনের পরিকল্পনা অনুযায়ী রাজ্যের নির্বাচনে ৪০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করা হতে পারে। দ্বিতীয় থেকে‌ সপ্তম দফার ভোট পর্যন্ত বুথে বুথে আরও বেশি বাহিনী মোতায়েন করা যাবে বলে কমিশনের আশা।

দ্বিতীয় দফায় ১৯৪ কোম্পানি আধাসেনা ব্যবহারের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে। সে-ক্ষেত্রে বুথ-সংখ্যার নিরিখে ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানো হবে বলেই কমিশন সূত্রের খবর। তবে সেই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও দাবি করেছে একটি সূত্র। ১৮ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি ও রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রে ভোট হবে। ভোট অশান্তিমুক্ত করাই চ্যালেঞ্জ কমিশনের কাছে। কমিশন সূত্রের বক্তব্য, ওই তিন কেন্দ্রের মধ্যে গোলমালের আশঙ্কা বেশি জলপাইগুড়িতে। পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় দার্জিলিঙের কয়েকটি জায়গায় যোগাযোগ ব্যবস্থা নিয়েও চিন্তায় আছে কমিশন। যোগাযোগ ব্যবস্থার উপরেও বুথের স্পর্শকাতরতার বিষয়টি নির্ভর করে। সেখানে ইভিএম-ভিভিপ্যাট নিরাপত্তার সঙ্গে ভোটকর্মীদের নিরাপদে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে যাওয়া এবং ফেরাও গুরুত্বপূর্ণ বলেই মত কমিশনের একাংশের। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা জানাচ্ছেন, রায়গঞ্জে চতুর্মুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে রায়গঞ্জ নিয়ে তুলনামূলক ভাবে চিন্তা কম কমিশনের। আজ, মঙ্গলবার বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে রায়গঞ্জে যাবেন। বুধবার তাঁর দার্জিলিং যাওয়ার কথা।

২৩ এপ্রিল, তৃতীয় দফায় ভোট হবে মালদহ উত্তর, মালদহ দক্ষিণ, বালুরঘাট, মুর্শিদাবাদ, জঙ্গিপুর কেন্দ্রে। মোট ৮৫২৫টি বুথে ভোট নেওয়া হবে। কমিশনের সোমবারের পরিকল্পনা অনুযায়ী সেখানে ২৭৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানো হতে পারে। তাতে ৭৯ শতাংশ বুথে আধাসেনা দেওয়া যাবে। এই দফায় মুর্শিদাবাদের ডোমকল, হরিহরপাড়ার মতো কয়েকটি এলাকা নিয়ে কমিশনের চিন্তা থাকলেও বাকি ক্ষেত্রে পরিস্থিতি স্বাভাবিক। একদা মুর্শিদাবাদ অশান্তির জন্য শিরোনামে এলেও এ বারের পরিস্থিতি ভিন্ন। কারণ, মুর্শিদাবাদে অশান্তিমুক্ত ভোট করাতে অনেক আগেই প্রস্তুতি শুরু করেছিল কমিশন। সেই প্রস্তুতির ফল মিলবে বলে মত কমিশন-কর্তাদের।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

জলপাইগুড়িতে সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-র সঙ্গে বিজেপি নেতারা বৈঠক করেছেন বলে অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। দক্ষিণ দিনাজপুরের পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ তুলেছে তারা। রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী অফিসার সঞ্জয় বসু জানান, দু’টি বিষয়েই রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।

দ্বিতীয় এবং তৃতীয় দফায় দেশের ৯৭ এবং ১১৫টি আসনে নির্বাচন রয়েছে। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরার নেতৃত্বাধীন ফুল বেঞ্চ এ দিন ওই সব কেন্দ্রের সাধারণ, খরচ সংক্রান্ত, পুলিশ-পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে ভিডিয়ো-সম্মেলন করেছে। ওই দুই দফায় যে-সব রাজ্যে ভোট হওয়ার কথা, সেখানকার মুখ্য নির্বাচনী অফিসার (সিইও)-এরা সম্মেলনে ছিলেন। মূলত নির্বাচনের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রথম দফার নির্বাচনের ভুলত্রুটিগুলি যাতে শুধরে নেওয়া যায়, সেই নির্দেশও দিয়েছে কমিশনের ফুল বেঞ্চ। বৈঠকের বিষয়টি হোয়াটসঅ্যাপেই স্থির হয়।

এখনও কমিশনের পরিকল্পনা অনুযায়ী পঞ্চম দফায় রাজ্যে ৪০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানো হতে পারে। বুথ-সংখ্যার নিরিখে সেটা ৮৩%। ষষ্ঠ দফায় ৫০ শতাংশ বুথে আধাসেনা থাকতে পারে। সপ্তম দফায় তা বেড়ে হতে পারে ৬৫ শতাংশ। কমিশনের এক কর্তার কথায়, ‘‘বাহিনী বাড়লে বেশি সংখ্যক বুথে তাদের মোতায়েন করা হবে। তাই এখনই নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব নয়।’’

Lok Sabha Election 2019 Election Commission নির্বাচন কমিশন
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy