Advertisement
E-Paper

লকেটের বাড়ি এবং শমীকের কার্যালয়ে হামলা

হুগলি লোকসভায় প্রচারের সুবিধার জন্য গ্রিনপার্কে জিটি রোডের ধারে বাড়ি ভাড়া নিয়েছেন লকেট। বিজেপির অভিযোগ, এ দিন সকাল ১১টা নাগাদ ৫০-৬০ জন যুবক তাদেরই দলের ঝান্ডা নিয়ে সেই বাড়িতে হামলা চালায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০১৯ ০৪:০৪
ভাঙচুরের পরে হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী  লকেট চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি। ব্যান্ডেলের গ্রিন পার্কে। ছবি: তাপস ঘোষ

ভাঙচুরের পরে হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি। ব্যান্ডেলের গ্রিন পার্কে। ছবি: তাপস ঘোষ

লোকসভা নির্বাচনের প্রচার পর্বে ফের বিজেপির উপরে হামলার অভিযোগ উঠল। অভিযোগ, শুক্রবার সকালে ব্যান্ডেলের গ্রিন পার্কে হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে হামলা চালায় এক দল যুবক। আর এ দিনই বিকেলে দমদম লোকসভা কেন্দ্রের গোরাবাজারে বিজেপি প্রার্থী শমীক ভট্টাচার্যের নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা হয়। ওই ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন বিজেপির উত্তর শহরতলি জেলার সাধারণ সম্পাদক চণ্ডীচরণ রায়। দুই ক্ষেত্রেই অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। এবং দু’টি অভিযোগেই তৃণমূল নেতৃত্ব আঙুল তুলেছেন বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের দিকে।

হুগলি লোকসভায় প্রচারের সুবিধার জন্য গ্রিনপার্কে জিটি রোডের ধারে বাড়ি ভাড়া নিয়েছেন লকেট। বিজেপির অভিযোগ, এ দিন সকাল ১১টা নাগাদ ৫০-৬০ জন যুবক তাদেরই দলের ঝান্ডা নিয়ে সেই বাড়িতে হামলা চালায়। একদল একতলার জানলার কাচ, সোফা ভাঙে। অন্যরা দোতলায় উঠে টিভি, কম্পিউটার, বারান্দার কাচ ভাঙে। ভাতের হাঁড়িও উল্টে ফেলা হয়। লকেট তখন দলের মহিলা সহকর্মীদের সঙ্গে দোতলায় ছিলেন। তাঁর দিদি মালা চট্টোপাধ্যায় তাঁকে অন্য ঘরে সরিয়ে নেন। প্রায় আধ ঘণ্টা তাণ্ডব চালিয়ে হামলাকারীরা বাইক নিয়ে চম্পট দেয়।

লকেটের অভিযোগ, কয়েক দিন ধরেই জনাকয়েক অচেনা যুবক মোটরবাইক নিয়ে তাঁর বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতেন। যদিও তাতে তিনি বিশেষ আমল দেননি। তিনি বলেন, ‘‘এই কেন্দ্রে তৃণমূলের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গিয়েছে বলেই তারা হামলা চালিয়ে সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে।’’ বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিংহের অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা চক্রান্ত করে বিজেপির পতাকা নিয়ে হামলা চালিয়েছে। যাতে এই ঘটনায় বিজেপিকেই দায়ী করা যায়। চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার অখিলেশ চতুর্বেদী বলেন, ‘‘পুলিশ অভিযোগ পেয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।’’ লকেটের জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান। তৃণমূল অবশ্য হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, ‘‘এটা বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্বের ঘটনা। লকেট বহিরাগত। তাই ওঁদের দলের যাঁরা টিকিট-প্রত্যাশী ছিলেন, তাঁরাই এ সব করেছেন। আমরা অযথা এ সব করতে যাব কেন?’’

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

অন্য দিকে, এ দিন বিকেলে গোরাবাজারে শমীকবাবুর নির্বাচনী কার্যালয়ে আচমকাই চার জন হামলা চালায় বলে অভিযোগ। বিজেপির উত্তর শহরতলি জেলার সভাপতি মানস ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘হঠাৎই চার জন দুষ্কৃতী মুখে কাপড় বেঁধে মোটরবাইকে চড়ে ওই কার্যালয়ে ঢোকে। আমাদের জেলার সাধারণ সম্পাদক চণ্ডীবাবু তখন সেখানে একা ছিলেন। তাঁকে বাঁশ, রড দিয়ে মেরে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা।’’ শমীকবাবু বলেন, ‘‘দমদম লোকসভা কেন্দ্রে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল প্রার্থী অধ্যাপক সৌগত রায়। এই হামলার পরে একটা কথাই বলতে পারি, অধ্যাপকের থেকে অধ্যাপকসুলভ প্রতিদ্বন্দ্বিতাই প্রতিপক্ষ আশা করে। আর দমদম কেন্দ্রে উইঙ্কল-টুইঙ্কল-এর ব্রাত্য বসু কোথাও অনুপস্থিত।’’ তৃণমূলের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক অবশ্য বলেন, ‘‘আমাদের দলের কেউ এতে জড়িত নন। পুরোটাই বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল। বিজেপির যাঁরা শমীকবাবুকে প্রার্থী হিসেবে চাইছেন না, তাঁরাই এ সব করেছেন।’’

Lok Sabha Election 2019 BJP TMC Locket Chatterjee Shamik Bhattacharya
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy