ফাইল চিত্র।
মোদী-শাহ-স্মৃতি, মমতা-অভিষেক-দেব থেকে সূর্যকান্ত মিশ্র। আর কোন ভোটের আগে জেলায় এত ভিভিআইপিকে একসঙ্গে দেখা গিয়েছে তা মনে নেই কারও।
২৯ তারিখ বীরভূমে ভোট। তার আগে ১৯ থেকে ২৫ এপ্রিল ভিভিআইপি প্রার্থীরা প্রচারে আসছেন জেলায়। এই সময়ে তাঁদের নিরাপত্তা দেওয়া, বিপুল ভিড় সামলানো থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা— কেন্দ্রীয় বাহিনী উপস্থিতি থাকলেও সব নিখুঁত মাপে সামাল দেওয়া চ্যালেঞ্জের বলে মানছে জেলা পুলিশও।
সব সূচি মেনে চললে ওই সাত দিনে জেলায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী তথা লোকসভা ভোটে বিজেপির মুখ নরেন্দ্র মোদী, দলের সেনাপতি অমিত শাহ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে তারকা প্রার্থী দেব ওরফে দীপক অধিকারী এমনকি সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রও। একাধিক জনসভাও হবে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
বিজেপি সূত্রের খবর, ১৯ তারিখে ইলামবাজারে সভা করবেন স্মৃতি ইরানি। ২২ তারিখ সিউড়িতে সভা করার কথা দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের। ২৪ তারিখ বোলপুর লোকসভা এলাকায় জনসভা করার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। সিপিএম সূত্রের খবর, ওই দিনই বোলপুরে জনসভা করবেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। অন্য দিকে, অমিত যে দিন সিউড়িতে সভা করবেন, সে দিনই ইলামবাজারে সভা করবেন তৃণমূলের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৯ তারিখ ইলামবাজার স্মৃতি ইরানির সভার দিনেও নলহাটিতে সভা করার কথা রয়েছে অভিষেকের। তৃণমূল নেত্রীতথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২৫ তারিখ সিউড়িতে সভা করবেন। তৃণমূলের তারকা প্রার্থী দেব আসছেন ২৩ তারিখ। দুবরাজপুর ও রামপুরহাট মহকুমায় প্রচারে যাবেন। দেব রোড শো, নাকি সভা করবেন সেটা ঠিক হয়নি।
তবে ভিভিআইপিদের উপস্থিতি ঘিরে মানুষের ঢল নামবে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত পুলিশ। সব দিক সামলাতে প্রচুর পুলিশ কর্মীও চাই। চ্যালেঞ্জটা সেখানেই। জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দিনগুলির মধ্যে সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতি হতে পারে ২৪ ও ২২ তারিখ। দু’দিন দুটি রাজনৈতিক দলের দুটি পৃথক সভা থাকছে। দুটি বিশাল মাপের জনসভা একই দিনে জেলায় হলে চাপ থাকেই। এক দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও সূর্যকান্ত মিশ্র। অন্য দিন অমিত শাহ ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল ও বিজেপির সূচি অনুযায়ী, স্মৃতি ইরানি ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জোড়া জনসভা ১৯ তারিখ।
পুলিশ বা প্রশাসন চিন্তিত হলেও ভোটের ঠিক আগে সব দল যে ভাবে প্রচার-যুদ্ধে ঝড় তুলতে চাইছে, তাতে উদ্দীপিত দলের কর্মী, সমর্থকেরা। তাঁরা বলছেন, ‘‘দেওয়াল লিখন, সভা, র্যালি থেকে শুরু করে প্রার্থীদের নিয়ে প্রচার চলছে পুরোদমে। তার পরেও ভিভিআইপিদের উপস্থিতি জমিয়ে দেবে ভোট-বাজারকেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy