পূজা ও দিলীপ। —নিজস্ব চিত্র।
পদ্ম প্রতীকে জিতেও দলবদল করা কাউন্সিলরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সোমবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী দিলীপ ঘোষের প্রচার ছিল খড়্গপুর শহরে। এ দিন শহরের ১৫ ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচার চালান তিনি। ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচার চলাকালীন তৃণমূল কার্যালয়ের সামনে স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর পূজা নায়ডুর সঙ্গে দেখা হয় প্রার্থী দিলীপ ঘোষের। ২০১৫ সালের পুরসভা নির্বাচনে পূজা বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন। পরে তৃণমূলে যোগ দেন। তাঁর স্বামী প্রয়াত শ্রীনু নায়ডু খড়্গপুরের দাপুটে রেল মাফিয়া হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
এ দিন হুডখোলা গাড়িতে ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচার সেরে ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে পৌঁছন বিজেপি প্রার্থী। পূজা ওই ওয়ার্ডেরই কাউন্সিলর। তখন তৃণমূল কার্যালয়ের সামনে পূজাকে দেখে এক বিজেপি কর্মী দিলীপের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এরপরেই দিলীপবাবু হাতজোড় করে পূজার উদ্দেশে বলেন, “দিদি নমস্কার। কেমন আছেন।” প্রত্যুত্তরে পূজা হাসিমুখে বলেন, “আমি তো আপনার থেকে বয়সে অনেক ছোট। আপনাকেও নমস্কার। আপনি ভাল আছেন তো?” এ দিন পূজা-দিলীপের সৌজন্য সাক্ষাতের পরে শহরে নানা জল্পনা শুরু হয়েছে। তবে পূজা নায়ডু বলেন, “দিলীপ ঘোষের সঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের সময়েও একটি ভোটকেন্দ্রে দেখা হয়েছিল। তখনও সৌজন্য বিনিময় হয়েছিল। ব্যক্তিগতভাবে কেউ আমার শত্রু নয়। রাজনীতি ও ব্যক্তিগত সম্পর্ক আলাদা। আমি তৃণমূলের সঙ্গে যে রয়েছি সেটা নির্বাচনের ফলেই প্রমাণ হবে। আমার ওয়ার্ডে তৃণমূলই লিড পাবে।” যদিও ২০১৬ সালের বিধানসভায় ওই ওয়ার্ডে প্রায় ১৪০০ ভোটে এগিয়ে ছিলেন দিলীপ।
এ দিন মেদিনীপুর গ্রামীণেও প্রচার করেন দিলীপ। গোপগড়ের সামনে থেকে দিলীপের রোড- শো শুরু হয়। কনকাবতী, মণিদহ, চাঁদড়া পেরিয়ে রোড- শো পৌঁছয় ধেড়ুয়ায়। এ দিন সকালে তিনি শালবনির কমলা-সহ আশেপাশের এলাকায় প্রচার করেন মানস ভুঁইয়া। বিকেলে যান চাঁদড়া, ধেড়ুয়ায়। গোয়ালতোড়ের পিয়াশালা প্রচারে পদযাত্রা করে তৃণমূল। ঝাড়গ্রাম কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে এই পদযাত্রায় হাঁটেন গড়বেতার বিধায়ক আশিস চক্রবর্তী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy