Advertisement
E-Paper

দলবদলের সভা থমকে গেল উদ্দাম নাচে, বাবুলের গানেই ‘লিপ’ মেলালেন দিলীপ

কী করতে হবে, দলের মহিলা নেতা-কর্মীদের সবেমাত্র বুঝিয়ে বলেছেন বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। এরপর ছিল অন্য দল থেকে যোগদান পর্বের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০১৯ ০৪:৪১
মহিলা মোর্চার সভায় দিলীপ ঘোষ।  ছবি: দেবরাজ ঘোষ

মহিলা মোর্চার সভায় দিলীপ ঘোষ। ছবি: দেবরাজ ঘোষ

কী করতে হবে, দলের মহিলা নেতা-কর্মীদের সবেমাত্র বুঝিয়ে বলেছেন বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। এরপর ছিল অন্য দল থেকে যোগদান পর্বের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। হঠাৎই মাইকে বেজে উঠল গান—‘ এই তৃণমূল আর না, আর না, আর না...’।

বাবুল সুপ্রিয়ের গাওয়া ওই গান শুরু হতেই রবিবার মুহূর্তে বদলে গেল খড়্গপুরের মাতকাতপুরে বিজেপির কর্মিসভার পরিবেশ। গানের তালে তালে নাচতে শুরু করলেন বিজেপি কর্মীরা। যোগদানের সরকারি ঘোষণা পণ্ড হল। যা ছিল হাল্কা কোমর দোলানো, ক্রমে তাই হয়ে উঠল উদ্দাম নাচ। হাততালি দিয়ে লিপ মেলালেন মেদিনীপুরের বিজেপি প্রার্থী তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপও।

আসানসোলের বিজেপি প্রার্থী বাবুলের ওই গান নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। কমিশন জানিয়েছে, আইনি ছাড়পত্র না পাওয়া পর্যন্ত ওই গান প্রকাশ্যে আনা যাবে না। তা হলে কর্মিসভায় কী ভাবে বাজল ওই গান? দিলীপ বলেছেন, “আরে আমি গাইব তাতে নির্বাচন কমিশনের অনুমতি নিতে হবে নাকি! শিল্পীর গান গাওয়া, অভিনেতাদের অভিনয় করার অধিকার রয়েছে। যখন আমরা অফিশিয়ালি চালাব তখন লিখিতভাবে অনুমতি নেব।”

আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

এ দিন কি গানটি আনুষ্ঠানিক ভাবে চালানো হয়নি? দিলীপের জবাব, “এই গান তো মুখে-মুখে ঘুরছে। গান গান-ই হয়। অফিশিয়াল, আন-অফিশিয়াল বলে কিছু হয় না। মানুষের মনের কথা কেউ আটকাতে পারে না।” বাবুল অবশ্য সতর্ক প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘গানের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন শো-কজ করেছিল। উত্তরও দিয়েছি। এরপর কোথায় ওই গান বাজল, তা নিয়ে মন্তব্য করা ঠিক নয়।’’

এ দিন সভার শুরুতে কিন্তু গুরুগম্ভীর পরিবেশই ছিল। কর্মী সম্মেলনে ছিলেন মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, ঘাটাল, তমলুক ও কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপির মহিলা কর্মীরা। মুখ্য বক্তা দিলীপ। তিনিই লোকসভা নির্বাচনের ইতিকর্তব্য ঠিক করে দেন। তাঁর বক্তৃতা শেষ হওয়ার পর গান শুরু হতেই মঞ্চে কোমর দোলাতে শুরু করেন মহিলা কর্মীরা। বিজেপির মহিলা মোর্চার জেলা সভানেত্রী উজ্জ্বলা সাহা, যুব মোর্চার সহ-সভানেত্রী তৃষা চট্টোপাধ্যায়-সহ আরও অনেকে নাচতে শুরু করেন। যাঁরা মঞ্চের উপরে ছিলেন, নেমে এসে তাঁরা মেতে ওঠেন নাচে। মহিলা কর্মীদের উৎসাহ দেখে প্রথমে হাততালি ও পরে মাইক ধরে গান ধরেন দিলীপও। মহিলা কর্মীদের দিকে ছুড়ে দেন ফুলও।

কর্মী সম্মেলনের এই নাচ-গানকে বিঁধতে ছাড়েনি তৃণমূল। দলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, “দিলীপ ঘোষ যেখানে সেখানেই অপসংস্কৃতি। কমিশনের ছাড়পত্রহীন এই গানে মহিলাদের উদ্দাম নৃত্য অপসংস্কৃতির অঙ্গ। নির্বাচন কমিশনে জানাব।” যুব মোর্চার নেত্রী তৃষার পাল্টা কটাক্ষ, “আমরা এই রাজ্যে শাহরুখ খানের কোলে মহিলা পুলিশকে উর্দি পরে নাচতে দেখেছি। আর আমরা শালীনতা বজায় রেখেই নেচেছি। অকারণে বিতর্ক হচ্ছে।”

Lok Sabha Election 2019 লোকসভা ভোট ২০১৯ Dilip Ghosh
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy