—ফাইল চিত্র।
কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী হওয়ার পর থেকে বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না বিজেপির কল্যাণ চৌবের। এত দিন তাঁকে প্রার্থী মানতেই আপত্তি ছিল সত্যব্রত মুখোপাধ্যায় বা জলুবাবুর অনুগামীদের একাংশের। রবিবার তাঁকে কেন্দ্র করে বড় ধরনের অভিযোগ আনলেন বিজেপির নদিয়া জেলার কয়েক জন নেতা। এঁরা জেলায় দীর্ঘদিন ধরে বিজেপির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন কিন্তু এই মুহূর্তে দলীয় নেতৃত্বের চাপে ক্রমশ কোণঠাসা। রবিবার বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে তাঁরা অভিযোগ তুললেন, কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী বর্তমান নেতৃত্বের নির্দেশে তাঁদের ফোন ধরছেন না। সৌজন্য দূরে থাক তাঁদের সম্মান বা গুরুত্ব দিচ্ছেন না।
রবিবার কৃষ্ণনগরে ভারতীয় জনতা মজদুর ট্রেড ইউনিয়ন কাউন্সিলের তরফে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে ক্ষোভ উগড়ে দেন সংগঠনের জেলা সভাপতি সঞ্জয় রায়, সংগঠনের রাজ্য সহ সভাপতি সুকোমল চাকি প্রমুখ। কোতোয়ালি থানার বিপরীতে একদা কৃষ্ণনগরে বিজেপির প্রধান দলীয় কার্যালয়টি এখন ওই শ্রমিক সংগঠনের কার্যালয়ে পরিণত হয়েছে। সঞ্জয় রায়ের অভিযোগ, যে সব মানুষেরা একটু একটু করে জেলায় বিজেপির জমি তৈরি করেছিলেন সেই কল্যাণ নন্দী, সুবিমল চাকি ও তাঁদের মতো অনেক পুরনো বিজেপি নেতা কর্মীদের থেকে দূরে রাখা হচ্ছে কল্যাণ চৌবেকে। গত কয়েক দিন ধরে এঁদের কারও ফোন তিনি ধরেননি। সঞ্জয়বাবুর অভিযোগ, “আমরা জানতে পেরেছি যে, প্রার্থীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তিনি যেন অজানা নম্বরের ফোন না ধরেন। কিন্তু এই জেলায় তো সকলেই তাঁর অজানা।
আলাপ করে তবে তো পরিচিত হবেন। কিন্তু তাঁকে সেই সুযোগ নিতে দিচ্ছে না একশ্রেণির স্বার্থান্বেষী মানুষ যাঁরা দুর্ভাগ্যজনক ভাবে জেলার নেতা।”
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
কে বা কারা সেই নেতা? রাখঢাক না করেই সঞ্জয়বাবু বলেন, “এই সবই মহাদেব সরকারের অপকৌশল। তিনি কয়েকজন মানুষকে নিয়ে দলটা চালাচ্ছেন পৈত্রিক সম্পত্তির মতো। প্রার্থীর বিরুদ্ধে আমাদের ক্ষোভ নেই। তিনি জেলায় নতুন, তাঁর এ সব কিছুই জানার কথা নয়। তাঁকে বিপথে চালানো হচ্ছে। যা আদতে দলের ক্ষতি করবে।” অভিযোগ অস্বীকার করে নদিয়ায় বিজেপির উত্তর মণ্ডলের সভাপতি মহাদেববাবুর দাবি, ‘‘যাঁরা অভিযোগ করছে তাঁরা বিজেপির কেউ নন। বিজেপির সকলে একসঙ্গে কাজ করছে। কোনও বিরোধ নেই। কল্যাণ চৌবেকে কেউ নিয়ন্ত্রণ করছে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy