Advertisement
E-Paper

হাঙ্গামা ঠেকাতে বিশেষ নির্দেশ কেন্দ্রীয় বাহিনীকে

কমিশন জানিয়েছে, শেষ দফায় ন’টি লোকসভা কেন্দ্রের ভোটে প্রায় ১৭ হাজার বুথ রয়েছে। ১০০ শতাংশ বুথেই বাহিনী থাকছে

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ মে ২০১৯ ০৩:০০

শুধু বুথে নয়, আজ, রবিবার শেষ দফার ভোটে পথেঘাটেও কড়া মেজাজে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। শনিবার এ কথাই জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের একা‌ধিক কর্তা। তাঁদের বক্তব্য, রাজনৈতিক চাপানউতোর যা-ই থাক না কেন, ভোটে নিরাপত্তা নিয়ে কোনও রকম আপস করতে চাইছে না কমিশন। শুক্রবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর কমান্ডিং অফিসারদের সঙ্গে বৈঠকে সেই নির্দেশই দিয়েছেন কমিশনের কর্তারা।

কমিশন জানিয়েছে, শেষ দফায় ন’টি লোকসভা কেন্দ্রের ভোটে প্রায় ১৭ হাজার বুথ রয়েছে। ১০০ শতাংশ বুথেই বাহিনী থাকছে। এর পাশাপাশি বাহিনীর ৪৬১টি ‘কুইক রেসপন্স টিম’ (কিউআরটি) থাকছে। কমিশনের খবর, রাজ্যে কমিশনের বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে নিজে বাহিনীর ‘কিউআরটি’-র নজরদারি করবেন। কমিশনের একটি সূত্রের দাবি, ভোটে হাঙ্গামা বা লুঠ ঠেকাতে চূড়ান্ত বলপ্রয়োগের ছাড়পত্র বাহিনীকে দেওয়া হয়েছে। ভোটকেন্দ্রের ২০০ মিটার পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। কোনও নির্বাচনী ক্যাম্পে দু’জনের বেশি লোক থাকতে পারবে না। বুথে-বুথে সিসি ক্যামেরা এবং ভিডিওগ্রাফির ব্যবস্থা হয়েছে।

কমিশনের খবর, ভোটে রাজ্যে বর্তমানে মোট ৭১০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে। তার মধ্যে ৩৪ কোম্পানি স্ট্রং রুমের দায়িত্বে রয়েছে। বাকি ৬৭৬ কোম্পানি ভোটের নিরাপত্তা সামলাবে। সব থেকে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে কলকাতায়। বুথ বেশি হওয়ায় ১৪৭ কোম্পানি বাহিনী দেওয়া হয়েছে মহানগরে। রয়েছে বারুইপুর পুলিশ জেলা। সেখানে ১০৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে। বারাসত পুলিশ জেলা ৫৫ কোম্পানি, ব্যারাকপুর কমিশনারেট ৪৮ কোম্পানি, বসিরহাট পুলিশ জেলা ৭০ কোম্পানি, সুন্দরবন পুলিশ জেলা ৭৮ কোম্পানি এবং ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলা ৮০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পেয়েছে।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

ভোটে নিরাপত্তার জন্য রাজ্য ও কলকাতা পুলিশকেও নিয়োগ করা হয়েছে। রাজ্য পুলিশ সূত্রের খবর, ‘মোবাইল স্ট্রাইকিং ফোর্স’ ছাড়াও আরটি ভ্যান, হেভি রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড থাকছে। রাজ্যে গত লোকসভা এবং পুরসভার ভোটে বিধাননগর, কলকাতার মতো শহুরে এলাকায় এবং পঞ্চায়েত ভোটে গ্রামীণ এলাকায় সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছিল। ভোটের দিন দাগি দুষ্কৃতীরা যাতে হাঙ্গামা না-করতে পারে, সেই কারণে কমিশনের তরফে কয়েক দফা নির্দেশ গিয়েছে বলে খবর। পুলিশের একটি সূত্র বলছে, যে সব দুষ্কৃতী এবং রাজনৈতিক কর্মীর বিরুদ্ধে আগের ভোটে গোলমালের অভিযোগ রয়েছে, তাদের নজরবন্দি করার নির্দেশ রয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে মুচলেকাও লেখানো হয়েছে। কাদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নিতে হবে, তার নির্দিষ্ট তালিকা কমিশনের তরফে দেওয়া হয়েছে। সেই তালিকা ধরে-ধরে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের দাবি।

Lok Sabha Election 2019 লোকসভা নির্বাচন ২০১৯ Central Force Election Commission
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy