মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কার্যালয়ে ধর্নায় (বাঁ দিক থেকে) মুকুল রায়, জয়প্রকাশ মজুমদার, শিশির বাজোরিয়া এবং শঙ্কুদেব পণ্ডা। —ফাইল চিত্র।
প্রমাণ রাখতে মুখ্য নির্বাচনী অফিসার (সিইও) আরিজ আফতাবের ঘরের মেঝেতে বসে ধর্নার ছবি তুলেছিল, ভিডিয়ো করেছিল রাজ্য বিজেপি। এখন সেই ছবি ও ভিডিয়ো ‘হাতিয়ার’ হতে পারে সিইও-র দফতরের।
রাজ্য পুলিশ দিয়ে ভোট নয়, সব বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী, এক অতিরিক্ত সিইও-কে কিছু দায়িত্ব থেকে সরানোর দাবিতে শুক্রবার ওই ধর্নায় বসেন রাজ্য বিজেপি নির্বাচন ব্যবস্থাপনা কমিটির মুকুল রায়, সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদারেরা। ঘরে সিইও ছাড়াও ছিলেন এক অতিরিক্ত সিইও শৈবাল বর্মণ। ঘটনার ক্রম বোঝাতে ছবি ও ভিডিয়ো তোলে বিজেপি। ভিডিয়ো (ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার)-য় শোনা যাচ্ছে, উপস্থিত এক নেতা বলছেন, ‘দু’টি ছবি তুলে রাখো, পার্টিকে দিতে হবে। ঘরে বসে মিষ্টি খাচ্ছি কি না, কে উত্তর দেবে...!’ সেই ছবি আর ভিডিয়োকেই এখন অস্ত্র করছে সিইও দফতর।
বিজেপি নেতারা সিইও দফতরের কর্তাদের ‘বিশ্বাসযোগ্যতা’ নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি সিইও-র ঘরে ঢুকে যে-অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করেন, তার উল্লেখ করেই রিপোর্ট তৈরি করে দফতরের অভিযোগ সংক্রান্ত শাখা। জুড়ে দেওয়া হয় বিজেপির তোলা ছবি ও ভিডিয়ো। প্রথমে সেই রিপোর্ট নির্বাচন সদনে পাঠাতে রাজি হননি সিইও। শেষে অবশ্য তা পাঠানো হয়।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
পর্যবেক্ষকদের মতে, ছবি-ভিডিয়ো থাকলে রিপোর্ট শক্তপোক্ত হয়। বিষয়টি নিয়ে ‘চাপ’ তৈরির কৌশল নিয়েছিলেন বিজেপি নেতারা। কিন্তু অনেকাংশে লাগামছাড়া হয়ে পড়ায় বিপত্তি হয়েছে। বিজেপি নেতারা যে-ভাবে মেঝেতে বসে তর্জনী তুলে কথা বলেছিলেন, তা সৌজন্যের ধারপাশ দিয়ে যায়নি। বরং শান্ত মাথায় সবটুকু মন দিয়ে শুনে সৌজন্যই দেখান সিইও এবং এক জন অতিরিক্ত সিইও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy