—ফাইল চিত্র।
ভোট পর্ব সামনে আসতেই সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে সরব হয়েছেন ভোটকর্মীরা। কোথাও বিক্ষোভের আকারে, কোথাও বা মিছিলের মাধ্যমে জানানো হয়েছে সেই দাবি। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসার (সিইও) আরিজ আফতাব প্রেস বিবৃতি দিয়ে জানালেন, ভোটকর্মীদের নিরাপত্তার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের কাছে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। ‘‘প্রতিটি বুথেই পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বাহিনী থাকবে। নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনও কারণ নেই। নিরাপত্তা নিয়ে কোনও চিন্তা নেই,’’ বলেন সিইও।
প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়ার দাবিতে সোমবার দুপুরে সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করে ‘শিক্ষক শিক্ষাকর্মী শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চ’ নামে শিক্ষকদের একটি সংগঠন। সেখান থেকে সিইও দফতরে গিয়ে সিইও-র সঙ্গে দেখা করেন সংগঠনের নেতারা। পরে প্রেস বিবৃতিতে সিইও জানান, লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত কর্মী এবং অন্যদের নিরাপত্তার বিষয়টি সরাসরি দেখভাল করবে কমিশন। নিরাপত্তার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকবে।
কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে কয়েক দিন ধরেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন ভোটকর্মীরা। এ দিন সিইও-র সঙ্গে দেখা করার পরে ঐক্য মঞ্চের নেতা বিশ্বজিৎ মিত্র, কিঙ্কর অধিকারী বলেন, ‘‘সিইও আমাদের নিরাপত্তা আশ্বাস ও বন্দোবস্তের কথা জানাচ্ছেন লিখিত ভাবে। সেই পত্রটি ভোটের সামগ্রী নেওয়ার সময় ভোটকর্মীদের হাতে দেওয়া হবে বলে জানান সিইও।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
ঐক্য মঞ্চের নেতাদের দাবি, ভোটের কাজকর্মকে কেন্দ্র করে উত্তর দিনাজপুরে ১৮২ জন শিক্ষকের এপ্রিলের বেতন কাটার জন্য জেলা নির্বাচনী অফিসার তথা জেলাশাসক জেলা শিক্ষা দফতর (ডিআই)-এর কাছে যে-সুপারিশ করেছেন, সেই বিষয়ে শিক্ষকেরা যাতে কোনও সমস্যায় না-পড়েন, সিইও তা দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। বিক্ষোভ দেখানো মানে যে ভোটের কাজে না-যাওয়া নয়, সে-কথাও জানাতে ভোলেননি ওই সংগঠনের নেতারা। তাঁরা বলেন, ‘‘আমরা ভোটের দায়িত্ব পালন করতে চাইছি না, তা কিন্তু নয়। আমরা নিরাপত্তার যে-আশ্বাস চাইছি, সেটা সাংবিধানিক অধিকার।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy