Advertisement
০৫ মে ২০২৪
Politics

গৌতম দেবরা পথে নামলেও প্রার্থী খুঁজতে হিমশিম ঘিসিংরা আজ বৈঠকে

দলের কেন্দ্রীয় কমিটির এক নেতা জানান, ক্ষয়িষ্ণু সংগঠন নিয়েই ২০১১ সালে ভোটে দাঁড়িয়ে পাহাড়ে তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রে মোট ৫০ হাজারের মতো ভোট পেয়েছিল দল।

একসঙ্গে: অমর সিংহ রাইয়ের গাড়িতে মোর্চা-তৃণমূল পতাকা। নিজস্ব চিত্র

একসঙ্গে: অমর সিংহ রাইয়ের গাড়িতে মোর্চা-তৃণমূল পতাকা। নিজস্ব চিত্র

কৌশিক চৌধুরী
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০১৯ ০৪:৪৩
Share: Save:

মোর্চা সভাপতি বিনয় তামাং, তৃণমূলের জেলা সভাপতি গৌতম দেবরা দার্জিলিং লোকসভা প্রার্থী ঘোষণা হওয়ায় রাস্তায় নেমে পড়েছেন। সেখানে পাল্টা সর্বসম্মতভাবে বাকি দলগুলিকে নিয়ে প্রার্থী খুঁজতে নেমে হিমশিম অবস্থা জিএনএলএফের। দলীয় সূত্রের খবর, গত একমাস ধরে সিপিআরএম, কংগ্রেস, জাপ, গোর্খা লিগের মতো দলগুলিকে নিয়ে এই চেষ্টা চালাচ্ছেন মন ঘিসিংরা। প্রথমে তাঁরা মোর্চাকেও সঙ্গে থাকতে বলেন।

তবে কয়েক দফার বৈঠকের পরে পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করে। বিনয় তামাং-এর নেতৃত্বে মোর্চা তৃণমূলের পাশে থাকার ঘোষণা করে। তখন আরও ১১টি দলকে নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। চলতি সপ্তাহে হরকা বাহাদুর সেই আলোচনা থেকে সরে গিয়েছেন। পাশাপাশি সিপিআরএম রত্ন বাহাদুর রাইকে প্রার্থী করতে চেয়ে সওয়াল শুরু করে। পরিস্থিতি বুঝে সিপিএম, কংগ্রেসও নিজেরাও প্রার্থী নিয়ে দলীয় স্তরে আলোচনা শুরু করেছেন। এ অবস্থায় আজ, শুক্রবার দলের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক ডাকলেন জিএনএলএফ সভাপতি মন ঘিসিং। পাহাড়ের কোনও পরিচিত ভূমিপত্রকে জিএনএলএফের প্রার্থী করা যায় কি না তা নিয়ে কথাবার্তা চলছে।

জিএনএলএফের মুখপাত্র নীরজ জিম্বা বলেন, ‘‘আমরা পাহাড়ে সর্বসম্মত প্রার্থী দাঁড় করানোর পক্ষে। তবে গত কয়েক দিনে পরিস্থিতি পাল্টেছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছে। লোকসভা কেন্দ্রটির সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘তেমন হলে আমরাও প্রার্থী দিতে পারি। সবই কেন্দ্রীয় কমিটিতে ঠিক হবে।’’

দলের কেন্দ্রীয় কমিটির এক নেতা জানান, ক্ষয়িষ্ণু সংগঠন নিয়েই ২০১১ সালে ভোটে দাঁড়িয়ে পাহাড়ে তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রে মোট ৫০ হাজারের মতো ভোট পেয়েছিল দল। তা বর্তমানে অন্তত দ্বিগুণ হবে। তাঁর কথায়, মোর্চায় বিনয়-বিরোধীরা জি‌এনএলএফের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। আবার পাহাড়ে গোর্খা লিগের অল্প হলেও ভোট রয়েছে। সব মিলিয়ে, পছন্দসই প্রার্থী ঠিক করা গেলে তৃণমূল বা বিজেপির মতো দলগুলিকে সেই প্রার্থী পাহাড়ে যথেষ্ট বেগ দেবেই। সেই কথা মাথায় রেখেই কৌশল ঠিক করতে বসছেন মনরা।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE