Advertisement
E-Paper

এক অফিসে নগদ সাড়ে চার কোটি!

আয়কর দফতর সূত্রের খবর, ১০ মার্চ দেশে নির্বাচনী আচরণবিধি বলবৎ হওয়ার পরে পশ্চিমবঙ্গে এই প্রথম একসঙ্গে এত বিপুল অঙ্কের নগদ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০১৯ ০৫:২৭
ছবি শাটারস্টক থেকে নেওয়া।

ছবি শাটারস্টক থেকে নেওয়া।

বড়বাজারে মহর্ষি দেবেন্দ্র রোডের একটি অফিস থেকে বৃহস্পতিবার সাড়ে চার কোটিরও বেশি নগদ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে আয়কর দফতর। অভিযোগ, হাওয়ালায় পাচারের জন্য ওই টাকা রাখা ছিল। নিয়ম মেনে বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়েছে।

আয়কর দফতর সূত্রের খবর, ১০ মার্চ দেশে নির্বাচনী আচরণবিধি বলবৎ হওয়ার পরে পশ্চিমবঙ্গে এই প্রথম একসঙ্গে এত বিপুল অঙ্কের নগদ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হল। এ ছাড়া ওই তারিখের পরে বিভিন্ন জায়গায় হানা দিয়ে ২১ কোটি টাকার সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করেছিল আয়কর দফতর। তার মধ্যে নগদ ছাড়াও ছিল সোনা এবং অন্যান্য সামগ্রী। এ দিন বড়বাজারের ওই অফিস থেকে আটক অর্থের মধ্যে পাঁচ ও দশ টাকার বেশ কিছু অর্ধেক ছেঁড়া নোট আছে। সাধারণত হাওয়ালার কারবারিরাই নোটের একাংশ রাখেন। একই নম্বরের নোটের অন্য অংশ নিয়ে যাঁরা আসেন, তাঁদের সঙ্গে টাকার লেনদেন হয়।

আচরণবিধি চালু হওয়ার পরে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল, কারও কাছে একসঙ্গে ১০ লক্ষ টাকার বেশি পাওয়া গেলে তার হিসেব নিতে হবে এবং তাদের জানাতে হবে। পুলিশি সূত্রের খবর, এ দিন তাদের সাহায্য চায় আয়কর দফতর। ১১ নম্বর মহর্ষি দেবেন্দ্র রোডে তল্লাশি শুরু হয় দুপুরে। চলে গভীর রাত পর্যন্ত। সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, বাইরে প্রচুর পুলিশ। বহুতলে বেশ কিছু অফিস এবং বসবাসের কিছু ফ্ল্যাট রয়েছে। আয়করকর্মীরা একটি অফিসে ঢুকে তল্লাশি চালাচ্ছেন।

ঠিক কার অফিসে এই হানা, রাত পর্যন্ত তা জানাননি আয়কর-কর্তারা। শুধু জানা গিয়েছে, দুপুরে খবর পেয়ে হানা দেওয়া হয়। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, প্রচুর নগদ টাকা মজুত রয়েছে। অফিসে তিন জন ছিলেন। অত টাকা কোথা থেকে এল, ওই তিন জন তার জবাব দিতে পারেননি, নথিপত্রও দেখাতে পারেননি। প্রাথমিক ভাবে আয়কর-কর্তাদের সন্দেহ, ওঁরা সকলে হাওয়ালার কারবারি। বাইরে থেকে দেখান, ওঁরা কমিশনের ভিত্তিতে বিভিন্ন কাজ করেন। সে-ক্ষেত্রে কিন্তু অফিসে এত টাকা থাকার কথা নয়।

আয়কর দফতরের এক কর্তা জানান, গভীর রাত পর্যন্ত টাকা গোনার কাজ চলে। অফিসে উপস্থিত তিন জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এত টাকার উৎস কী, তার খোঁজ চলছে। নির্বাচনের জন্য কি ওই টাকা মজুত করা হয়েছিল? পরিষ্কার করে বলতে পারেনি আয়কর দফতর।

Lok Sabha Election 2019 Money Income Tax Department Election Commission
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy