Advertisement
E-Paper

কৃষকবন্ধু প্রকল্প এখনও ছাড়পত্র পায়নি কমিশনের

রূপশ্রী, সমব্যথী, কৃষকবন্ধু প্রকল্প চালু রাখার জন্য ছাড়পত্র চাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আলু কেনার সময়সীমা বাড়ানোর অনুমতিও কমিশনের কাছে চেয়েছিল নবান্ন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০১৯ ০২:৫৮

সমব্যথী, রূপশ্রী ইতিমধ্যে ছাড়পত্র পেয়ে গিয়েছে। কিন্তু ভোট পর্বে ‘কৃষকবন্ধু’ প্রকল্প চালু রাখার জন্য এখনও জাতীয় নির্বাচন কমিশনের অনুমতি পেল না রাজ্য সরকার।

প্রশাসনিক সূত্রের খবর, ভোট পর্ব চলাকালীন মোট চারটি প্রকল্প সক্রিয় রাখার জন্য কমিশনের অনুমতি চেয়েছিল রাজ্য। তার মধ্যে মাত্র দু’টি প্রকল্প ছাড়পত্র অনুমতি পেয়েছে রাজ্য। বাকি দু’টির ক্ষেত্রে কোনও উচ্চবাচ্য করেনি কমিশন। নবান্নের শীর্ষ মহলের ব্যাখ্যা, অনুমতি দেওয়ার হলে চারটি প্রকল্পের ক্ষেত্রে একই পদক্ষেপ করত কমিশন।

রূপশ্রী, সমব্যথী, কৃষকবন্ধু প্রকল্প চালু রাখার জন্য ছাড়পত্র চাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আলু কেনার সময়সীমা বাড়ানোর অনুমতিও কমিশনের কাছে চেয়েছিল নবান্ন। রূপশ্রী এবং সমব্যথী প্রকল্প চালু রাখতে রাজ্যকে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে কমিশন। বাকি দু’টির ক্ষেত্রে কমিশন রাজ্যকে কিছুই জানায়নি। প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্তার কথায়, ‘‘একসঙ্গে চারটি কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু আলু কেনার সময়সীমা বাড়ানো এবং কৃষকবন্ধু প্রকল্প নিয়ে নিজেদের মনোভাব জানায়নি কমিশন। বেশ কয়েক দিন কেটে যাওয়ায় ধরেই নেওয়া যায়, আর সেগুলোর অনুমোদন পাওয়া যাবে না। ইতিমধ্যেই যাঁরা প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন, তাঁদের প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দেওয়ার সময় হয়নি।’’

বিয়ের জন্য টাকা দেওয়ার প্রকল্প হল রূপশ্রী। আর মৃতদেহ সৎকারের জন্য অর্থসাহায্যের প্রকল্পের নাম সমব্যথী। প্রশাসনিক মহলের ব্যাখ্যা, যে-হেতু বিয়ে এবং মৃত্যু ভোটের দিনক্ষণ বা নির্বাচনী আচরণবিধির উপরে নির্ভর করে না, সেই জন্য এগুলির অনুমতি পাওয়া গিয়েছে। তা ছাড়া এই প্রকল্পের উপভোক্তারা আর্থিক দিক থেকে খুবই দুর্বল। ফলে তাঁদের ক্ষেত্রে অতি জরুরি এই পরিষেবায় বাধা দেওয়ার কথা নয়। নবান্নের এক কর্তা বলেন, ‘‘এগুলি চালু প্রকল্প। উপভোক্তারাও আগে থেকে নির্দিষ্ট। ফলে তাঁরা সরকারি সুবিধা পেলে তাতে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘিত হবে না।’’

আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

নবান্ন সূত্রের খবর, রাজ্যের ৭২ লক্ষ চাষির মধ্যে কমবেশি ১৫ লক্ষ কৃষক এখনও পর্যন্ত কৃষকবন্ধু প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করিয়েছেন। প্রকল্পের আওতায় বার্ষিক পাঁচ হাজারের মধ্যে প্রথম কিস্তির আড়াই হাজার টাকা প্রকল্পভুক্ত কৃষকদের দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি চলিয়ে যাওয়ার অনুমতি কমিশন এখনও না-দেওয়ায় চলতি ভোট পর্বে এই প্রকল্পে নতুন করে আর কোনও কৃষকের নাম তোলা যাবে না। অন্য দিকে কেন্দ্রীয় সরকারের ‘পিএম কিসান’ প্রকল্পে প্রায় সাড়ে চার কোটি উপভোক্তা প্রকল্পের দুই কিস্তির সুবিধাই পেয়ে গিয়েছেন। ওই প্রকল্পের আওতায় প্রত্যেক কৃষকের বছরে ছ’হাজার টাকা সহায়তা পাওয়ার কথা।

অন্য দিকে, আলু কেনার সময়সীমা ১৭ মার্চ থেকে বাড়িয়ে ২৪ মার্চ পর্যন্ত করতে চেয়েছিল রাজ্য। তার অনুমতি দেয়নি কমিশন।

Lok Sabha Election 2019 Farmers West Bengal Krishak Bandhu Scheme
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy