মমতা আসছেন। কালীগঞ্জে তার-ই প্রস্তুতি। নিজস্ব চিত্র
এই জেলাতেই একটি বাদে সব ক’টি বিধানসভা তৃণমূলের দখলে। দু’টি লোকসভা কেন্দ্রেই গত বার বড় ব্যবধানে জিতেছে তৃণমূল। পঞ্চায়েত ভোটে যেখানে বেশির ভাগ জায়গায় দাঁড়াতে পারেনি বিরোধীরা। সেখানেই ভোটের আগে নদিয়ায় ঝটিকা সফরে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দু’দিন তিনি কৃষ্ণনগরে থেকে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে মোট চারটি সভা করবেন।
এই সফরের এক দিন পরে ২৪ এপ্রিল কৃষ্ণনগর গভর্নমেন্ট কলেজের মাঠে আরও একটি জনসভা করার কথা আছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ওই দিনই আবার তাহেরপুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জনসভা করবেন বলে বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। জেলার পুলিশ সুপার রূপেশ কুমার বলছেন, “প্রতিটি জনসভার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে।”
কেন এতগুলি সভা করতে হচ্ছে দলের সর্বোচ্চ নেত্রীকে? কেন তার পরও কৃষ্ণনগর শহরেও আরও একটি জনসভা করতে ফিরে আসতে হচ্ছে তাঁকে? তা হলে কি নদিয়া নিয়ে এ বার স্বচ্ছন্দে নেই তৃণমূল?
রাজনৈতিক সূত্রের খবর, গত বার বিজেপি তৃতীয় স্থান দখল করলেও এ বার পরিস্থিতি খুব একটা স্বস্তিদায়ক নয় শাসক দলের কাছে। প্রথম থেকেই কৃষ্ণনগর ও রানাঘাট কেন্দ্রকে বিজেপি তাদের ‘সম্ভাবনাময়’ কেন্দ্র বলে দাবি করে আসছে। সঙ্ঘ পরিবারের একাধিক সংগঠন এখানে সক্রিয়। সিপিএমও আগের থেকে অনেক বেশি সংগঠিত ভাবে ভোট করছে। এই পরিস্থিতিতে কোনও রকম ঝুঁকি নিতে চাইছেন না বলেই হয়তো মমতা এতগুলি সভা করছেন বলে তাঁর দলের একাংশের মত।
প্রশাসন সূত্রের খবর, শনিবার বহরমপুর থেকে হেলিকপ্টারে মুখ্যমন্ত্রী সোজা চলে আসবেন কালীগঞ্জের পাগলাচন্ডী এলাকায়। সেখানে বেলা সাড়ে দশটা নাগাদ তাঁর সভা করার কথা পানিঘাটা ইউডিএম হাইস্কুল মাঠে। সেখান থেকে যাওয়ার কথা হাঁসখালির বগুলায়। দুপুর দু’টো নাগাদ তিনি শ্রীকৃষ্ণ কলেজের মাঠে সভা করবেন। সভা শেষে আসবেন কৃষ্ণনগরে। সেখানে একটি বেসরকারি হোটেলে রাতে থাকবেন। পর দিন সাড়ে বারোটা নাগাদ সভা করার কথা গয়েশপুরে। সভা করে চলে আসবেন রানাঘাটের হবিবপুরের ছাতিমতলার মাঠে।
সেখানে সভা করে মুখ্যমন্ত্রী চলে আসবেন শান্তিপুর শহরে। সেখানে থানার মোড় থেকে শহরের ভিতরে মিছিল করবেন বলে তৃণমূল সূত্রে জানা দিয়েছে। জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্ত বলছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শান্তিপুরের মিছিল করবেন। আমরা সেই মতো সাংগঠনিক প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছি।” ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রীর এই দু’দিনের সফর নিয়ে কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে।
দিন কয়েক আগে জেলা প্রশাসন ও দলের জেলা নেতাদের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর সফরসূচি চলে আসে। কিন্তু সেখানে শান্তিপুরের মিছিলের কথা ছিল না বলে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে। শুক্রবার নেত্রী সেই ইচ্ছা প্রকাশ করার পরেই দল ও প্রশাসনের তরফে তৎপরতা শুরু হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy