প্রতীকী ছবি।
ভোটের দিন বুথের ১০০ মিটারের মধ্যে কোনও ক্যামেরা, মোবাইল বা রেকর্ড করার যন্ত্র নিয়ে যাওয়া যাবে না বলে নির্দেশ জারি করে বিতর্কে জড়ালেন মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক পি উলগানাথন। তাঁর ওই নির্দেশের পরেই প্রেস ক্লাবের তরফে প্রশ্ন তোলা হয়, বুথে কেমন ভোট চলছে, তা দেখা এবং মানুষকে আশ্বস্ত করার জন্যই নির্বাচন কমিশন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের আলাদা ছাড়পত্র দেয়। তা হলে আবার এমন নির্দেশের অর্থ কী? বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি প্রশ্ন তোলে, বুথের ভিতরে অনিয়ম বা ছাপ্পার ছবি আটকানোর জন্যই কি মুর্শিদাবাদ জেলার রিটার্নিং অফিসারকে দিয়ে এমন নির্দেশ জারি করা হল? বিতর্কের পরে শেষ পর্যন্ত জেলাশাসক অবশ্য ব্যাখ্যা দিয়েছেন, কমিশনের সাধারণ নিয়মের কথাই তিনি বলতে চেয়েছিলেন।
রাজ্যে চতুর্থ দফায় সোমবার ভোট রয়েছে বহরমপুরে। কংগ্রেসের অধীর চৌধুরীকে হারিয়ে ওই আসন দখলে এ বার মরিয়া শাসক দল তৃণমূল। তার ফলে বহরমপুর কেন্দ্র এবং মুর্শিদাবাদ জেলা জুড়ে উত্তেজনা তুঙ্গে। এই আবহে শনিবার প্রচারের শেষ দিনে জেলাশাসক উলগানাথন জানান, বুথের ১০০ মিটারের মধ্যে ক্যামেরা, মোবাইল, টিভি চ্যানেলের বুম বা মাইক্রোফো নিয়ে যাওয়া যাবে না। বিধি না মানলে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের অনুমোদন বাতিল করার হুঁশিয়ারিও দেন তিনি। খবর পেয়ে কলকাতা প্রেস ক্লাবের তরফে বিষয়টি জানানো হয় রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (সিইও) দফতরে। কমিশন সূত্রে বলা হয়, কী ভাবে এমন নির্দেশিকা হল, উপযুক্ত স্তরে তা খোঁজ নেওয়া হবে।
পরে রাতে জেলাশাসক ব্যাখ্যা দেন, ‘‘বুথের ভিতরে প্রিসাইডিং অফিসারের অনুমতি নিয়ে ঢুকতে হবে। বুথের ভিতরে ছবি তুলে ভোটারের ভোটদানের গোপনীয়তা নষ্ট করা যাবেনা। বুথের ভিতরে কারও সাক্ষাৎকার নেওয়া যাবে না। ভোট প্রক্রিয়া বিঘ্ন ঘটানো যাবে না, এটা কমিশনের নির্দেশ রয়েছে।’’ তাঁর দাবি, ‘‘কমিশনের নির্দেশ রয়েছে বলেই বুথের ভিতরে ক্যামেরা বা মোবাইল নিয়ে গেলে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছি।’’ এমন নির্দেশ থাকলে ভোটের দিন বিভিন্ন বুথের ছবি, ভিডিয়ো প্রকাশ পায় কী করে? জেলাশাসক বলেন, ‘‘‘অন্যত্র কী হয় আমি বলতে পারব না। তবে কমিশনের যা নির্দেশ রয়েছে, সেটাই আমি বলেছি।’’ কমিশনের নির্দেশে অবশ্য বলা আছে, ভোটদানের ঘেরা এলাকায় কারও ভোট দেওয়ার ছবি তোলা যায় না। বুথের ১০০ মিটারের মধ্যে কারও সাক্ষাৎকার বা বক্তব্য রেকর্ড করা যায় না। কমিশনের চালু নিয়মের উপরে একটি জেলার রিটার্নিং অফিসার আবার নির্দেশিকা দিলেন কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন অব্যাহত রেখেছে বিরোধী শিবির।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy