Advertisement
E-Paper

মোদীর কথায় অসমের গামছা ছেড়েছেন দিলীপ

পঁয়ত্রিশ বছরের সাদামাটা জীবনধারা বদলাচ্ছে না বিজেপির রাজ্য সভাপতি বছর পঞ্চান্নর দিলীপ ঘোষের নির্বাচনী প্রচারেও।

দেবমাল্য বাগচী

শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০১৯ ০০:১৯
—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

ঘুম থেকে উঠে বেরিয়ে পড়েছিলেন প্রাতঃভ্রমণে। লক্ষ্য- জনসংযোগ। এক কাপ চা খেয়ে কর্মীদের সঙ্গে বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রচার। মাঝে এক কর্মীর বাড়িতে ইডলি দিয়ে প্রাতঃরাশ করেছেন। একজন ঠান্ডা পানীয় আনলেও তা ফিরিয়ে দিলেন। তার পরে বাংলোবাড়িতে ফিরে নিজেই ধুয়েছেন নিজের ঘামে ভেজা টি-শার্ট। এর পরে পাঞ্জাবি পরে নির্বাচনী প্রচারে।

পঁয়ত্রিশ বছরের সাদামাটা জীবনধারা বদলাচ্ছে না বিজেপির রাজ্য সভাপতি বছর পঞ্চান্নর দিলীপ ঘোষের নির্বাচনী প্রচারেও। গোটা রাজ্যে পদ্ম ফোটাতে হবে। নিজে জিততে হবে মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে। বড় দায়িত্ব রাজ্য বিজেপির অধিনায়কের কাঁধে। খাওয়াদাওয়া থেকে পোশাক জীবনযাপনে খুব একটা বেশি হেরফের হচ্ছে না। তবে হাঁটতে হচ্ছে তুলনায় একটু বেশি। কোনওদিন ১০কিলোমিটার তো কোনও দিন ১২কিলোমিটার। তার পরে দিনভর নানা প্রচারসভা, কর্মিবৈঠক তো লেগেই রয়েছে। এই কর্মশক্তির রহস্য কী? মেদিনীপুরের বিজেপি প্রার্থীর জবাব, “জীবনধারা যাঁর যেমন। আমার ৩৫বছর ধরে জীবনধারা এমনই। ভোরে ঘুম থেকে উঠে পড়া, ব্যায়াম, প্রাতঃভ্রমণ। সেই সঙ্গে ওজন বেড়ে যাবে বলে অনেক বছর ধরেই খাওয়া-দাওয়া কমিয়ে দিয়েছি। এখন সময়টা একটু হেরফের হয়ে যাচ্ছে।”

দিলীপের মা পুষ্পলতার আক্ষেপ, ছেলেকে পাশে বসিয়ে ভাল করে খাওয়ানোর সুযোগ হয় না। পুষ্পলতাই জানালেন, দিলীপের বয়স যখন ২২ বছর তখনই ঘর ছাড়ে সে। যোগ দেয় সঙ্ঘে। কী খেতে ভালবাসে ছেলে? পুষ্পলতার ছোট্ট জবাব, ‘‘তাল আর চুনো মাছ।’’ এখন তাল খাওয়ার সুযোগ নেই। তবে নেতার পছন্দের কথা জানেন কর্মীরাও। তাই কোনও কর্মীর বাড়িতে অথবা কর্মিসভার ফাঁকে দুপুরের খাবারের আয়োজন করা হলে ডাল-ভাত, আলুপোস্তর সঙ্গে অবশ্যই থাকে চুনো মাছ। দিলীপ বললেন, “বাড়িতে থাকলে সাধারণত সকালে রুটি-আনাজ খাই। রাতেও রুটি খাই। একটা বয়সের পরে হাল্কা খাবার ভাল। সেই মতো দুপুরে কর্মীর বাড়িতেও একদম হাল্কা খাবার খাচ্ছি।” কিন্তু এই গরমে প্রচারের সময় ঠান্ডা পানীয় একেবারে না পছন্দ। গলা ভেঙে যাওয়ার ভয়ে এড়িয়ে চলেন দই। দিলীপ বলেন, “মাঝেমধ্যে ডাবের জল, আখের রস কেউ খাওয়ালে খেয়ে নিচ্ছি।”

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

বৈচিত্র নেই পোশাকেও। প্রতিদিন সাতসকালে প্রচার চালাচ্ছেন জাম রঙের একই টি-শার্ট পরে। আবার প্রচারসভা বা রোড-শো থাকলে পরছেন হলুদ হাফ হাতা পাঞ্জাবি। চড়া রোদে আলাদা রোদচশমা নয়, হাল্কা কালো চশমা পরেই প্রচার চালান তিনি। সঙ্গে উত্তরীয়। কব্জিতে মৃত্যুঞ্জয় কবজ থাকবেই। কিন্তু আগের অসমের গামছা গেল কোথায়? দিলীপের জবাব, “মোদীজি অসমের গামছা নিতে না করেছেন। বলেছেন, সম্পূর্ণ বাঙালি পোশাকে থাকতে। তাই যখন যে রঙের উত্তরীয় পাই নিই। লোকে ব্র্যান্ড তৈরি করে। আমি যেটা পড়ি সেটাই আমার ব্র্যান্ড।” ইদানীং অবশ্য অতিরিক্ত হাঁটতে হচ্ছে বলে চামড়ার চটির বদলে পায়ে গলিয়েছেন জুতো। তবে পাঞ্জাবি-পাজামার সঙ্গে মোজা ও চামড়ার চটিতে দেখা যাচ্ছে বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে। তবে রোদ থেকে ত্বক বাঁচাতে কোনও সানক্রিম মাখছেন না? দিলীপ বলছেন, “এমনিতেই আমার চেহারা চক-চক করছে।”

Dilip Ghosh Lok Sabha Election 2019
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy