বান্দোয়ান থানায় পুলিশ কর্তারা। —নিজস্ব চিত্র
লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে ঝাড়খণ্ড লাগোয়া সীমানা এলাকায় নজরদারি বাড়াতে বুধবার বান্দোয়ানে পুলিশের একটি উচ্চপর্যায়ের আন্তঃরাজ্য বৈঠক হল।
বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, সীমানা এলাকায় শান্তি বজায় রাখা এবং মাওবাদীদের গতিবিধির তথ্য বিনিময়ে ওই বৈঠকে জোর দেওয়া হয়েছে।
বান্দোয়ানের কুচিয়া সিআরপি শিবিরে বৈঠকটি হয়। সূত্রের খবর, বৈঠকে আইজি (পশ্চিমাঞ্চল ) রাজীব মিশ্র ছিলেন। এ ছাড়া মেদিনীপুর রেঞ্জের ডিআইজি, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া তিন জেলার এসপি, জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপারেশন), এসডিপিও (মানবাজার) প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে ঝাড়গ্রামের ডিআইজি ( সিআরপি) এবং কয়েকটি শিবিরের কমান্ডাররা উপস্থিত ছিলেন।
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে লাগোয়া দুই রাজ্যের সীমানা এলাকায় মাওবাদীদের তৎপরতা কতটা এবং কী ভাবে তাদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব, কোন গ্রুপের কত জন সদস্য সীমানা এলাকায় সক্রিয় রয়েছে, তার বিশদ আলোচনা হয়েছে। সামনে ম্যাপ রেখে এলাকার ভৌগোলিক অবস্থান বুঝিয়ে তথ্য বিনিময় হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ড লাগোয়া পুরুলিয়া জেলার বান্দোয়ানে মাওবাদীদের তৎপরতা না এখন থাকলেও ওই রাজ্যে তাদের গতিবিধি রয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের সময় জেলার সীমানা লাগোয়া থানা এলাকায় ঢুকে নাশকতা ঘটানোর আশঙ্কা রয়েছে কি না, এ নিয়ে পুলিশ আধিকারিকরা মত বিনিময় করেন। মাওবাদী তৎপরতা রুখতে সীমানা এলাকার খবর সংগ্রহে জোর দেওয়া হয়েছে।
সীমানা লাগোয়া গ্রামের বাসিন্দাদের দাবিদাওয়ায় সহানুভূতি জানিয়ে মাওবাদীরা যাতে সেখানে ঘাঁটি গাড়তে না পারে সে দিকে লক্ষ্য রাখতে বলা হয়েছে। এ জন্য এলাকার ছোটখাট সমস্যা যেমন নলকুপ, যাত্রী প্রতীক্ষালয় গড়া, প্রশিক্ষণ দিয়ে স্থানীয়দের রোজগারের ব্যবস্থা করা— এ রকম সামাজিক কাজেও ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
এ ছাড়া মাওবাদী সক্রিয়তা নজরে এলে দুই রাজ্যের পুলিশের মধ্যে দ্রুত তথ্য বিনিময় করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এক পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে দুই রাজ্যের পুলিশের মধ্যে সমন্বয় রাখাই এই বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য ছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy