Advertisement
E-Paper

ধর্না রিপোর্ট পাঠাতে ‘গড়িমসি’, সিইও-র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ

কমিশন সূত্রের খবর, শুক্রবার মুকুলেরা কমিশনের দফতরে সিইও-র সামনে বসে পড়েছিলেন। সেখানে ছিলেন আরও এক অতিরিক্ত সিইও শৈবাল বর্মণ।

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০১৯ ০২:০৯
মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কার্যালয়ে ধর্নায় (বাঁ দিক থেকে) মুকুল রায়, জয়প্রকাশ মজুমদার, শিশির বাজোরিয়া এবং শঙ্কুদেব পণ্ডা। —ফাইল চিত্র।

মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কার্যালয়ে ধর্নায় (বাঁ দিক থেকে) মুকুল রায়, জয়প্রকাশ মজুমদার, শিশির বাজোরিয়া এবং শঙ্কুদেব পণ্ডা। —ফাইল চিত্র।

রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের অফিসে স্মারকলিপি জমা দিতে এসে খোদ সিইও আরিজ আফতাবের ঘরেই ধর্নায় বসে পড়েছিলেন মুকুল রায়, শিশির বাজোরিয়া-সহ বিজেপি নেতারা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় অপমানিত হন সিইও দফতরের আধিকারিকেরা। তাঁরা চেয়েছিলেন, শনিবার দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনকে এই মর্মে রিপোর্ট পাঠান সিইও। কমিশন সূত্রের দাবি, তিনি রিপোর্ট পাঠাতে রাজি হচ্ছেন না, এই খবর পাওয়ার পর প্রতিবাদে অফিস না ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন আধিকারিকেরা। শোরগোল পড়ে যায় কমিশনে। শেষ পর্যন্ত সিইও রিপোর্ট পাঠাতে সম্মত হওয়ায় রাত ৮টার পরে একে একে অফিস ছাড়েন নির্বাচনী আধিকারিকেরা।

কমিশন সূত্রের খবর, শুক্রবার মুকুলেরা কমিশনের দফতরে সিইও-র সামনে বসে পড়েছিলেন। সেখানে ছিলেন আরও এক অতিরিক্ত সিইও শৈবাল বর্মণ। তাঁদের দু’জনের সামনেই বিজেপি নেতারা অভিযোগ করেন, সিইও অফিস ‘ম্যানেজ’ হয়ে গিয়েছে। অফিসের বাইরেও বিজেপির প্রতিবাদ সভা থেকে অফিসারদের নাম ধরে স্লোগান দেওয়া হয়।

এ দিন কমিশনের অভিযোগ গ্রহণ সংক্রান্ত শাখা গত কালের ঘটনা নিয়ে রিপোর্ট তৈরি করে। বিজেপি নেতারা যে ভাবে কমিশনের আধিকারিকদের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এবং সিইও-র ঘরে ঢুকে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছিলেন, রিপোর্টে তার উল্লেখ ছিল। কিন্তু শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিইও আরিজ আফতাব সেই রিপোর্ট দিল্লিতে পাঠাতে রাজি হননি বলেই সূত্রের দাবি।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

সে কথা জেনে অফিসারেরা সিইও-কে জানিয়ে দেন, ওই রিপোর্ট দিল্লিতে পাঠানো না হলে তাঁরা অফিস ছাড়বেন না। তাঁরা সকলে কমিশনের তিন তলায় এক অতিরিক্ত সিইও-র ঘরে বসে পড়েন। প্রায় ঘণ্টা দু’য়েক পরে সিইও তাঁদের জানান, তিনি রিপোর্টটি দিল্লিতে পাঠাবেন। সেই রিপোর্ট অফিসারদের দেখানোও

তিনি। এ বিষয়ে ফোন করা হলে সিইও ফোন ধরেননি। রাত পর্যন্ত হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজেরও জবাব দেননি। কমিশনের এক কর্তা অবশ্য বলেছেন, ‘‘দেশের সংবিধানে বর্ণিত নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব ও জনপ্রতিনিধিত্ব আইন মেনে কাজ করছি। যা খুশি অভিযোগ করলে আমরাই বা মানব কেন?’’

ধর্নার ঘটনার পরে নিরাপত্তার কড়াকড়ি হয়েছে সিইও দফতরে। এ বার থেকে সিইও-র সঙ্গে দেখা করতে গেলে সেই তথ্য আগাম জানিয়ে সময় নিতে হবে। সেই সঙ্গে জানাতে হবে, রাজনৈতিক ওই প্রতিনিধি দলে কত জন সদস্য থাকবেন। তার ভিত্তিতেই বৈঠকের দিনক্ষণ স্থির হবে। সিইও দফতরের অতিরিক্ত সিইও সঞ্জয়

বসু শনিবার বলেন, ‘‘যাতে কাজে ব্যাঘাত না হয়, তার জন্য নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।’’

Lok Sabha Election 2019 Mukul Roy লোকসভা ভোট ২০১৯
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy