জেলায় ভোট প্রচারের শেষ দিনে দেশের বিদায়ী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহকে রামনগরে এনেও মাঠ ভরাতে পারল না বিজেপি। রামনগর আরএসএ ময়দানকে দু’ভাগে ভাগ করে একদিকে বানানো হয়েছিল হেলিপ্যাড। তবুও অর্ধেক মাঠের প্রায় ৭০ শতাংশ এ দিন ফাঁকাই থাকলো। যার জন্য প্রচণ্ড গরমকেই দুষলেন বিজেপি নেতারা।
তৃণমূলের বিরুদ্ধে তাঁর তোপে তেমন ঝাঁজ না থাকলেও এ দিন রাজনাথ সিংহ বলেন, ‘‘লম্বা সময় এই রাজ্য সরকার থাকবে না। আপনার সাহস করে ভোট দিন। একদিন না একদিন, এই রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় আসবে।’’ প্রায় ২৫ মিনিটের বক্তৃতার প্রায় পুরোটাই ছিল, জাতীয় কংগ্রেস ও রাজ্য সরকারের বিরোধিতায় ভরা। পাশাপাশি গত পাঁচ বছরে কেন্দ্র সরকারের আন্তর্জাতিক ও জাতীয় ক্ষেত্রে সাফল্যের কথা তুলে ধরেন তিনি। রাজনাথ বলেন, ‘‘জাতীয় কংগ্রেস বারবার প্রশ্ন তুলেছে, পাকিস্তানে ভারতীয় সেনা ঢুকে লড়াই চালিয়েছে, তার কৃতিত্ব কেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নেবে? ১৯৭১ সালে কংগ্রেসের প্ৰধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধী পাকিস্তান ও বাংলাদেশ ভেঙে দিয়েছিলেন। তখন তাঁর জয় জয়কার হয়েছিল। তা হলে এখন নরেন্দ্র মোদীর যায় জয়কার হবে না কেন ?’’
রাজ্যের শাসক দলের সমালোচনা করে রাজনাথ বলেন, “এখানে ‘পলিটিক্যাল ভায়োলেন্স’ চলছে। আমিও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম। পলিটিক্যাল ভায়োলেন্স হলে তার দায়িত্ব মুখ্যমন্ত্রীকে নিতে হয়। ভোটের সময় ভায়োলেন্স হলে তা রোখা মুখ্যমন্ত্রীর কর্তব্য। ক্রাইম বা ভায়োলেন্স রুখতে না পারলে সেই সরকারের থেকে লাভ কি ?” বিরোধীদের ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ স্লোগান নিয়ে রাজনাথের জবাব, ‘‘হামারা চৌকিদার পিওর হ্যায়। উসকা দুবারা পিএম বাননা সিওর হ্যায়। দেশ কি সারি সমস্যা কি ওহি কিওর হ্যায়। সারে দুনিয়া মে এহি সোর হ্যায়, মোদি ওয়ান্স মোর হ্যায়।’’
তৃণমূলের জেলার অন্যতম সম্পাদক কনিষ্ক পণ্ডা বলেন, “একে গরম, তার উপর মাঠ ফাঁকা দেখে রাজনাথবাবুর বোধহয় মাথা গরম হয়ে গিয়েছিল। তাই এসব বলেছেন।’’
এদিন বিজেপি-র জেলা সভাপতি তপন মাইতি রাজনাথকে দিঘার বিখ্যাত ঝিনুক শিল্পের তৈরি দুর্গামূর্তি উপহার দেন।