আইপিএস অফিসার রাকেশ আস্থানা।
ভোটের সময় কালো টাকার কারবারে নজর থাকে নির্বাচন কমিশনের। আর অতীত অভিজ্ঞতায় কমিশন দেখেছে, ভোটের নগদও কোনও কোনও ক্ষেত্রে হেলিকপ্টার বা ভাড়ার বিমানে পাড়ি দেয়। সেই কারণে এ বার দেশের ছোট ছোট বিমানবন্দর এবং নেতাদের ওঠা-নামার হেলিপ্যাডগুলিতে বিশেষ নজরদারি চালাতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা। সেই নজরদারি মূলত চালাবে ব্যুরো অব সিভিল এভিয়েশন সিকিওরিটি(বিসিএএস)। যার মাথায় এখন আইপিএস অফিসার রাকেশ আস্থানা।
প্রশাসনের অলিন্দে আলোচনা, ছোট বিমান বন্দরগুলিতে নিরাপত্তার কড়াকড়ি নিয়ে এখন থেকেই বিসিএএস পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে। প্রশ্ন উঠেছে, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বা আঞ্চলিক বিমানবন্দরগুলির নিরাপত্তা না হয় তা-ও দেখা সম্ভব, কিন্তু অস্থায়ী হেলিপ্যাডের নিরাপত্তা কীভাবে পরীক্ষা করা সম্ভব। হেলিপ্যাডের বাইরে তো সংশ্লিষ্ট রাজ্যের পুলিশি প্রহরা থাকে।
নির্বাচন কমিশনের এক কর্তা জানান, নির্বাচন সদন হেলিপ্যাডগুলিকেও নজরদারির আওতায় আনতে বলেছে। আগের কয়েকটি ভোটে কয়েকজন বড় নেতার সঙ্গে হেলিকপ্টারে নগদ পাওয়া গিয়েছিল। ফলে এ বার আয়কর দফতর এবং সিভিল এভিয়েশন সিকিওরিটি’র তরফে হেলিপ্যাডগুলিতেও নজরদারি চালানো হবে। প্রয়োজনে হেলিকপ্টার সংস্থাগুলিকে নির্দেশিকা দেওয়া হতে পারে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
কমিশনের এক সূত্র জানাচ্ছে, ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে প্রায় ২৫০ কোটি টাকা বেআইনি নগদ ধরা পড়েছিল। তার অনেকটাই বিমানবন্দরের আশপাশে থেকে ধরা পড়েছিল। সম্প্রতি কর্নাটক বিধানসভার ভোটের সময়েও বাজেয়াপ্ত হওয়া ৪১ কোটির নগদের সিংহভাগ বিমানপথেই এসেছিল।
দেশে এখন ১২৫টি বিমানবন্দরে নিয়মিত বিমান-চলাচল করে। তার মধ্যে ১১টি আন্তর্জাতিক এবং ৮১টি অন্তর্দেশীয় বিমানবন্দর। রয়েছে ২৫টি প্রতিরক্ষা বিমানবন্দর এবং ৮টি নির্দিষ্ট কাস্টমস বিমানবন্দরও। তবে আঞ্চলিক বিমান পরিষেবা চালু হওয়ার পর প্রায় সাড়ে ৪০০ বিমানবন্দরে ছোট বিমান নামা-ওঠার ব্যবস্থা রয়েছে। নিয়মিত বিমান পরিষেবা না থাকলেও ভোটের বাজারে আঞ্চলিক বিমান বন্দরগুলির ব্যবহার বাড়বে। সেকারণে নজরও থাকবে সেদিকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy