রাজ্যে ভোটযজ্ঞে কেন্দ্রীয় বাহিনীর খরচ বাবদ অর্থ মঞ্জুর করল অর্থ দফতর। পুলিশি সূত্রের খবর, এক কিস্তিতেই ২০০ কোটি টাকার বেশি অর্থ মঞ্জুর করেছে সরকার। তবে প্রাথমিক ভাবে মঞ্জুর করা এই অর্থ গত বিধানসভা নির্বাচনে বাহিনী খাতে খরচের থেকে অনেকটাই কম। পরের বিভিন্ন দফার ভোটের জন্য বিরোধীরা আরও বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে নির্বাচন কমিশনের উপরে চাপ সৃষ্টি করছেন। তা সত্ত্বেও পুলিশ গত বছরের তুলনায় কম অর্থ চাওয়ায় নতুন জল্পনা শুরু হয়েছে।
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময় বাহিনীর খরচ বাবদ প্রায় ২৪০ কোটি টাকা চেয়েছিল রাজ্য পুলিশ। সেই টাকা মঞ্জুর করেছিল রাজ্যের অর্থ দফতর। তা খরচও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এ বার রাজ্য পুলিশের চাহিদা ২২০ কোটি টাকার কাছাকাছি। সম্প্রতি অর্থ দফতর তা মঞ্জুর করেছে। এ বার রাজ্য পুলিশের ডিজি-র তত্ত্বাবধানে ওই অর্থ বাহিনীর জন্য খরচ করা হবে। পুলিশ মহলের একাংশের খবর, প্রথমে আরও কম টাকা চাওয়া হয়েছিল। পরে তা সংশোধন করে প্রায় ২২০ কোটি টাকা চাওয়া হয়। প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘‘একাধিক কিস্তিতে নয়। রাজ্য পুলিশের চাহিদা অনুযায়ী এক কিস্তিতেই টাকা ছেড়ে দিয়েছে অর্থ দফতর।’’ ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী খাতে ১২২ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছিল।
প্রশাসনিক সূত্রে জানানো হয়, সাধারণত বাহিনীর যাতায়াতের জন্য গাড়ি, তার জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি বাবদই খরচ হয় সব থেকে বেশি। কারণ, বাহিনীর জন্য অনেক গাড়ি ভাড়া করতে হয় গোটা ভোট পর্বের জন্য। সর্বদা মজুত রাখতে হয় তেল। সেই সঙ্গে আধাসেনাদের থাকা, খাওয়া-সহ সব ধরনের খরচ মেটাতে হয়। তাই এই অর্থ রাজ্য সরকারের কাছ থেকে পায় পুলিশ। নির্বাচনের অন্যান্য খরচের কিছুটা কেন্দ্রের কাছ থেকে ফেরত পাওয়া গেলেও বাহিনীর জন্য টাকা খরচ করতে হয় রাজ্যকেই।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
আধিকারিকদের একাংশের বক্তব্য, খরচের বহর দেখে বাহিনীর সংখ্যা অনুমান করা যায় মাত্র। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ৮০০ কোম্পানির কাছাকাছি কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করেছিল কমিশন। তাতে খরচ হয় প্রায় ২৪৫ কোটি টাকা। ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনে তার প্রায় অর্ধেক বাহিনী ব্যবহৃত হয়। খরচ হয় প্রায় ১২২ কোটি টাকা। এই তত্ত্ব মানলে এ বার যত কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করা হবে, বিরোধীদের তা কতটা খুশি করতে পারবে, সেই প্রশ্ন উঠছে।