—ফাইল চিত্র।
রাহুল গাঁধীর ২৩ মার্চের জনসভার দিনই জেলায় দলের অঞ্চল কমিটিগুলির সভা রেখেছে তৃণমূল। অভিযোগ, দলের কোনও সাধারণ সমর্থক যাতে নিতান্ত উৎসাহবশেও রাহুলের সভায় যেতে না পারেন, তা নিশ্চিত করতে চান তৃণমূল নেতৃত্ব। সে জন্য বেশ কয়েক দিন আগেই শীর্ষ নেতৃত্ব এহেন নির্দেশ দিয়েছেন বলে খবর। রাহুলের সভায় ভিড় আটকাতে বিভিন্ন বাসমালিক-চালকদের হুমকিও দিচ্ছে তৃণমূল। অভিযোগ, গাড়ি ভাড়া দেওয়া হলে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হবে বলেও হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
এর আগে বিজেপিকে আটকাতে কোচবিহার থেকে পুরাতন মালদহ— নানা কৌশল নিয়েছিল তৃণমূল। কোথাও সরকারি মাঠ ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়নি, কোথাও হেলিকপ্টার নামানোর অনুমতি দেওয়া হয়নি। আবার বিরোধীদের পাল্টা সভা করেছে তৃণমূল, এমনটাও হয়েছে। চাঁচলেও ২৫ মার্চ রাহুলের পাল্টা সভার ডাক দিয়েছে তৃণমূল। কিন্তু সেই সঙ্গে রাহুলের সভায় দর্শকদের ভিড় ঠেকাতেও তৃণমূল মরিয়া হয়ে উঠেছে বলে কংগ্রেসের অভিযোগ। সভায় লোকজন আসবেন মূলত চাঁচল, হরিশ্চন্দ্রপুর ও রতুয়া থেকে। এ ব্যাপারে বড় ভরসা ভুটভুটি ও বাস। জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোস্তাক আলম বলেন, ‘‘রাহুল গাঁধীর সভার জন্য গাড়িভাড়া না দিতে ওরা গাড়িচালকদের হুমকি দিচ্ছে। ভাড়া দিলে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিচ্ছে। সব কিছু অগ্রাহ্য করেই মানুষ সভায় আসবেন বলে আশাবাদী।’’ জেলা
তৃণমূল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন পাল্টা বলেন, ‘‘ওদের সভায় যাওয়া রুখতে কাউকে হুমকি বা কৌশল নেওয়ার দরকার নেই। মালদহে কংগ্রেস অস্তিত্বহীন। সভায় যে লোকজন হবে না তা ওরা ভালই জানে। তাই ব্যর্থতা ঢাকতে আগাম উল্টোপাল্টা বকছে।’’ কিন্তু কর্মী-সমর্থকেরা যাতে কোনও ভাবেই রাহুলের সভায় না যান, সে জন্যই কি ওই সময়েই তৃণমূলের অঞ্চল কমিটিগুলির সভা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে? জবাবে জেলা সভাপতি বলেন, ‘‘নির্বাচনের জন্য এখন প্রতিদিনই প্রতিটি এলাকায় সভা হচ্ছে। এর পিছনে আলাদা অর্থ খোঁজা অর্থহীন।’’ যদিও চাঁচলের এক তৃণমূল নেতার সাফ স্বীকারোক্তি, কৌতূহলের বশেও েকউ যাতে রাহুলের সভামুখী না হন, সে-কথা মাথায় রেখেই ওই সময়ে অঞ্চল কমিটির সভা ডাকা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy