প্রস্তুতি: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার জন্য প্রস্তুত চণ্ডীরঝাড়। নিজস্ব চিত্র
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভার মধ্য দিয়ে লোকসভা নির্বাচনের আগে শেষ ক’দিনের প্রচারে ঝড় তুলতে চাইছে আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূল। কিন্তু আবহাওয়া নিয়ে চিন্তা কোনও অবস্থাতেই পিছু ছাড়ছে না দলের নেতাদের।
আজ, মঙ্গলবার আলিপুরদুয়ার শহর থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে জেলার ২ নম্বর ব্লকের চণ্ডীরঝাড়ে জনসভা করবেন অভিষেক। চণ্ডীরঝাড়ে ব্যক্তিগত জমির উপরে ওই জনসভাটি করছে তৃণমূল। সেখানে মঞ্চ বাঁধাও প্রায় শেষ। কিন্তু রবিবার সকাল থেকে দিনের বিভিন্ন সময় বৃষ্টির জেরে ইতিমধ্যেই ওই জমির নিচু জায়গাগুলোতে জল জমে গিয়েছে। বাকি অংশের মাটিও নরম হয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় সেখানে বেশি কিছু জায়গায় এ দিন বালি ফেলা হয়।
তৃণমূল সূত্রের খবর, হেলিকপ্টারে চেপেই চণ্ডীরঝাড়ে সভাস্থলে পৌঁছবেন অভিষেক। তাঁর হেলিকপ্টারও সভাস্থলের পাশেই নামার কথা ছিল। কিন্তু আচমকা বৃষ্টির জেরে সেই পরিকল্পনা বাতিল হয়। তার বদলে আলিপুরদুয়ার শহরের প্যারেড গ্রাউন্ডে হেলিকপ্টার নামানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ দিন ‘ট্রায়াল’ হিসাবে একটি হেলিকপ্টার প্যারেড গ্রাউন্ডে নামেও। তৃণমূলের জেলা সভাপতি মোহন শর্মা বলেন, “চণ্ডীরঝাড়ে হেলিপ্যাড তৈরির কাজও প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণেই আমাদের সেই পরিকল্পনা পরিবর্তন করতে হয়। প্যারেড গ্রাউন্ডে হেলিকপ্টারে নেমে সড়ক পথে চণ্ডীরঝাড়ে যাবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।”
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
আলিপুরদুয়ার শহরের এত বড় প্যারেড গ্রাউন্ড থাকতে, সেখান থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে চণ্ডীরঝাড়কে কেন অভিষেকের সভার জন্য বেছে নিলেন তৃণমূল নেতারা? এই প্রশ্নে ইতিমধ্যেই বিরোধী বিজেপির নেতারা তৃণমূলকে কটাক্ষ করতেও শুরু করে দিয়েছেন। বিজেপির জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন, “তৃণমূল নেতারা ভাল করে জানেন, তাদের সঙ্গে এই মুহুর্তে মানুষ নেই। ফলে প্যারেড গ্রাউন্ডে অমিত শাহর জনসভায় যে লোক হয়েছিল, তার সিকিভাগও তারা অভিষেকের জনসভার জন্য জোগার করতে পারবেন না। আর সেটা সবাই দেখলে, এখনও তৃণমূলের সঙ্গে থাকা মানুষগুলি তাদের থেকে সরে যাবেন। তাই তাদের এই পরিকল্পনা।”
যদিও তৃণমূলের দাবি, এই সপ্তাহের শেষেই আলিপুরদুয়ারে মুখ্যমন্ত্রী তিনটি জনসভা করবেন। তাঁর প্রতিটি সভা একধিক ব্লক বা একাধিক বিধানসভাকে ছুঁয়ে যাবে। কিন্তু আলিপুরদুয়ার-২ ব্লক স্থানীয় নেতারা অনেক দিন ধরে সেখানে একটি বড় সভা করতে চাইছিলেন। এই অবস্থায় ওই ব্লক ও আলিপুরদুয়ার শহরের মানুষের কথা ভেবেই জায়গা ঠিক করা হয়।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি মোহন শর্মা বলেন, ‘‘তা ছাড়া শুরুতে আমরা ভেবেছিলাম প্যারেড গ্রাউন্ডে হয়তো মুখ্যমন্ত্রীর জনসভা হবে। ফলে প্যারেড গ্রাউন্ড বাদ দিয়ে অন্য জায়গা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য বেছে নেওয়া হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী একাধিক সভা করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় প্যারেড গ্রাউন্ডের ভাবনা বাতিল হয়। তবে চণ্ডীর ঝাড়ের সভায় অমিত শাহরের জনসভার তিনগুণ বেশি লোকের জমায়েত হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy