Advertisement
E-Paper

উত্তপ্ত চোপড়ায় কাঁদানে গ্যাস, কেন্দ্রীয় বাহিনী কোথায়, প্রশ্ন বিরোধীদের

স্থানীয় অনেকেরই দাবি, স্পর্শকাতর নয় বলেই এই সব এলাকার বেশির ভাগ জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল না। ভোট হচ্ছিল মূলত রাজ্য পুলিশ দিয়ে। 

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০১৯ ০২:০৫
শাসন: গোলমালের পরে চোপড়ার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় চলছে পুলিশি ধরপাকড়। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র

শাসন: গোলমালের পরে চোপড়ার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় চলছে পুলিশি ধরপাকড়। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র

যত কাণ্ড চোপড়ায়। লোকসভা ভোটের দ্বিতীয় দফার এক কথায় এটাই হল নির্যাস। জলপাইগুড়ি, পাহাড়-সহ দার্জিলিং কেন্দ্রের বাকি অংশ এবং রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রে বিক্ষিপ্ত কিছু গোলমাল হলেও মোটের উপরে ভোট শান্তিতে হয়েছে বলেই দাবি করেছে নির্বাচন কমিশন। তবে গত পঞ্চায়েত ভোটের মতো এ দিনও উত্তপ্ত হয়ে রইল চোপড়া। কখনও চোপড়ার দিঘিপাড়া, কখনও ঘিরনিগাঁওয়ের কোটগছ প্রাইমারি স্কুলে গোলমাল ছড়াল। এর মধ্যে গুলি ছোড়া, বোমাবাজির অভিযোগও উঠেছে। পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। সকালে কিছু ক্ষণের জন্য জাতীয় সড়ক অবরোধও করেন স্থানীয় মানুষ। ঘিরনিগাঁওয়ে তো শেষ অবধি কেন্দ্রীয় বাহিনী পৌঁছনোর পরে কার্যত ভোটগ্রহণ শুরু হল, দাবি করেছেন সেখানকার মানুষ।

চোপড়া বিধানসভা কেন্দ্রটি দার্জিলিং লোকসভা আসনের অধীনে। গত পঞ্চায়েত ভোট থেকেই বারবার গন্ডগোলের অভিযোগ ওঠে চোপড়ায়। সব থেকে বেশি গন্ডগোল প্রবণ এলাকা চোপড়ার লক্ষ্মীপুর, দাসপাড়া ও ঘিরনিগাঁও। পঞ্চায়েত ভোটের সময়ে দিনের পর দিন এই সব এলাকায় সংঘর্ষ হয়েছে। একাধিক লোকের মৃত্যুও হয়েছে। কংগ্রেস এবং বিজেপির তরফে বারবার অভিযোগ করা হয়েছে, এই এলাকা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে নেই। তার পরে এখানে কেন কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়নি, তা-ই নিয়ে এ দিন প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।

শুধু চোপড়ার মির্দাগছ প্রাথমিক স্কুলে ১৮০ নম্বর বুথ নয়, ঘিরনিগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের কোটগছ প্রাথমিক স্কুলের ১১২ নম্বর বুথ, গোয়ালপোখরের কাঁহাটা ফুলবাড়ি এলাকা এবং ইসলামপুর আগডিমটি-খুন্তি অঞ্চলের পাটগড়া বালিকা বিদ্যালয়ের বুথ— এগুলির কোনওটিই স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত ছিল না।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

কেন স্পর্শকাতর ছিল না, তা নিয়ে প্রশাসন স্পষ্ট করে কিছু জানাতে চায়নি। স্থানীয় অনেকেরই দাবি, স্পর্শকাতর নয় বলেই এই সব এলাকার বেশির ভাগ জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল না। ভোট হচ্ছিল মূলত রাজ্য পুলিশ দিয়ে।

স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, মির্দাগছ প্রাথমিক স্কুলে ১৮০ নম্বর বুথে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে সকাল থেকেই ভোট দিতে যেতে বাধা দিচ্ছিল শাসক দলের কর্মীদের একাংশ। ভোট শুরুর প্রায় এক ঘণ্টার মধ্যে সেই অভিযোগ তুলে চোপড়ার জাতীয় সড়কে বসে বিক্ষোভ দেখান মহিলারা। তাঁদের সরাতে গেলে পুলিশের সঙ্গেও খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায়। সেখানে পুলিশ লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েক রাউন্ড কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ।

এর পরে বেলা সাড়ে ১০টা নাগাদ অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে চোপড়ার ঘিরনিগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের কোটগছ প্রাইমারি স্কুল। অভিযোগ, সেখানেও তৃণমূল ভোটারদের বাধা দিলে তাদের সঙ্গে কংগ্রেসকর্মীদের গোলমাল বাধে। আরও অভিযোগ, দু’পক্ষই বোমা ছোড়ে। উত্তেজিত জনতা ভোটকেন্দ্রের ভিতরে ঢুকে ইভিএম ভাঙচুর করে বলে দাবি। এর জেরে প্রায় তিন ঘণ্টা ভোট প্রক্রিয়া বন্ধ থাকে। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

Lok Sabha Election 2019 Violence Election Commission Chopra CRPF West Bengal Police
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy