Advertisement
E-Paper

কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে বিক্ষোভ

ক্যানিং, উলুবেড়িয়ার পরে রবিবার ওই বিক্ষোভ দেখল ডায়মন্ড হারবার এবং হুগলির তিন লোকসভা কেন্দ্রও। সব ক্ষেত্রেই বিক্ষোভকারীরা গত বছরের পঞ্চায়েত ভোটের অভিজ্ঞতার কথা তুলে হামলার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০১৯ ০৩:৩৭
বাড়ানো হচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।—ফাইল চিত্র।

বাড়ানো হচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।—ফাইল চিত্র।

বুথের নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে ভোটকর্মীদের দাবি ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। বাড়ছে বিক্ষোভও।

ক্যানিং, উলুবেড়িয়ার পরে রবিবার ওই বিক্ষোভ দেখল ডায়মন্ড হারবার এবং হুগলির তিন লোকসভা কেন্দ্রও। সব ক্ষেত্রেই বিক্ষোভকারীরা গত বছরের পঞ্চায়েত ভোটের অভিজ্ঞতার কথা তুলে হামলার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। পুলিশ দিয়ে বুথের নিরাপত্তা রক্ষা করা যাবে না বলেই তাঁদের দাবি। তাই বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইছেন তাঁরা।

এ দিন সকালে ডায়মন্ড হারবার হাইস্কুলে ভোটের কাজের প্রশিক্ষণ নিতে যান স্থানীয় কয়েকটি স্কুলের শিক্ষকেরা। প্রশিক্ষণের মধ্যেই কয়েক দফায় বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। দুপুরে একবার মহকুমাশাসক দেব চট্টোপাধ্যায়ের সামনেও বিক্ষোভ হয়। বিক্ষোভকারীরা পঞ্চায়েত ভোটে রায়গঞ্জে ভোটকর্মী রাজকুমার রায়ের দেহ উদ্ধারের ঘটনার কথা তোলেন। আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয় ‘শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী ঐক্য মঞ্চ’। মঞ্চের নেতা মইদুল ইসলাম বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত ভোটে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। আমরা কেউ অকালে প্রাণ দিতে চাই না। কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া আমরা বুথে যেতে পারব না।’’

ভোটকর্মীদের দাবিকে সমর্থন জানিয়েছেন ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী ফুয়াদ হালিম এবং বিজেপি প্রার্থী নীলাঞ্জন রায়। সমর্থন জানিয়েছে কংগ্রেসও। তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি শক্তি মণ্ডল কোনও মন্তব্য করতে চাননি। মহকুমাশাসক ভোটকর্মীদের দাবি

ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর আশ্বাস দিয়েছেন।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

‘নো সেন্ট্রাল ফোর্স, নো ইলেকশন ডিউটি’ লেখা পোস্টার গলায় ঝুলিয়ে এ দিন সকালে চন্দননগরের একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে প্রশিক্ষণ নিতে যাওয়া ভোটকর্মীরা বিক্ষোভ দেখান। পরে তাঁরা কলেজের সামনে দিল্লি রোডের সংযোগকারী রাস্তা অবরোধ করেন। প্রায় আধঘণ্টা পরে মহকুমাশাসক (চন্দননগর) সানা আখতার পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে এলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে এক শিক্ষকের বক্তব্য, ‘‘রাজ্য পুলিশ পাহারায় থাকলে বুথ কার্যত অরক্ষিত হয়ে যাবে। পঞ্চায়েত ভোটে সেই অভিজ্ঞতাই হয়েছে। বহিরাগতদের দাদাগিরিতে আমাদের ঠুঁটো হয়ে থাকতে হয়েছিল। এমন অভিজ্ঞতা আর চাই না।’’

চুঁচুড়ার পিপুলপাতির কাছে একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এবং শ্রীরামপুরে ইউনিয়ন ইনস্টিটিউশনেও ভোটকর্মীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। এবিটিএ-ও পোস্টার সাঁটে। আরামবাগ বয়েজ হাইস্কুল এবং গার্লস হাইস্কুলেও প্রশিক্ষণ নিতে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান ভোটকর্মীরা। তাঁদের দাবি, কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোটকেন্দ্রে একশো শতাংশ নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করতে হবে। ভোটকেন্দ্রে পৌঁছনোর সময়েও কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি তোলেন তাঁরা। মহকুমাশাসক লক্ষ্মীভব্য তান্নিরু বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করেন।

জেলা প্রশাসনের তরফে ভোটকর্মীদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, কেন্দ্রীয় বাহিনী যত আসবে, সেই হারে বুথে পাঠানো হবে। বুথ ছাড়াও তাদের অন্য কাজে ব্যবহার করতে হবে। তবে প্রতিটি বুথেই পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে। ভোটকর্মীদের বিষয়টি বোঝানো হয়েছে।

Lok Sabha Election 2019 Central Force West Bengal
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy