Advertisement
E-Paper

লালবাজারকে ধন্যবাদ লন্ডনের পুলিশকর্তার

লন্ডন পুলিশের ন্যাশনাল ফ্রড অ্যান্ড সাইবার ক্রাইম বিভাগের ডিরেক্টর জোনাথন ফ্রস্ট শুক্রবার কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মাকে ফোন করে ওই চক্রকে পাকড়াও করার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০১৯ ০৩:৫৫
লালবাজার।—ফাইল চিত্র।

লালবাজার।—ফাইল চিত্র।

এক-দু’জন নয়, কলকাতায় বসে গত চার বছরে অন্তত ২৩ হাজার ব্রিটিশ নাগরিককে ঠকিয়েছে ধৃত কলসেন্টার জালিয়াতেরা। তদন্তে নেমে লন্ডন পুলিশের কাছ থেকে এ কথাই জানতে পেরেছেন কলকাতা পুলিশের কর্তারা। একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার নাম করে পরিষেবা দেওয়ার ছুতোয় এক-এক জন বিদেশি নাগরিকের কাছ থেকে গড়ে পাঁচ হাজার পাউন্ড নেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। সেই চক্র ধরা পড়ায় বিলেতের পুলিশ আপাতত স্বস্তিতে বলে জানাচ্ছে লালবাজার।

১৭ অক্টোবর রাতে কলকাতার দু’টি কলসেন্টারে হানা দিয়ে ওই চক্রের সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতেরা এখন পুলিশি হেফাজতে রয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ল্যাপটপ, পেন ড্রাইভ, হার্ড ডিস্ক এবং অন্যান্য নথিপত্র। কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা-প্রধান মুরলীধর শর্মা জানান, লন্ডন পুলিশের ন্যাশনাল ফ্রড অ্যান্ড সাইবার ক্রাইম বিভাগের ডিরেক্টর জোনাথন ফ্রস্ট শুক্রবার কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মাকে ফোন করে ওই চক্রকে পাকড়াও করার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

পুলিশি সূত্রের খবর, অভিযুক্তেরা গত চার বছরে বিদেশি নাগরিকদের ঠকিয়ে বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করেছে। ওই চক্রের মূল চাঁই সিদ্ধার্থ বাণ্ঠিয়া-সহ অভিযুক্তদের অনেকের একাধিক বিদেশি গাড়িও রয়েছে। শুধু ব্রিটেন নয়, আমেরিকাতেও ওই চক্র জাল ছড়িয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। কয়েক বছর আগে জার্মান পুলিশের কাছ থেকে এই ধরনের প্রতারণা চক্রের খবর পাওয়া গিয়েছিল। সেই ঘটনায় বিধাননগর পুলিশ ও সিআইডি কিছু অভিযুক্তকে গারদে পোরে। তার পরে খাস কলকাতাতেও একাধিক কলসেন্টারের মালিককে একই অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু এ বার সেই প্রতারণার জাল অনেক বড় বলে পুলিশের সন্দেহ।

London Police Crime Lalbazar Kolkata Police
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy