মদন মিত্র। ফাইল চিত্র।
আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্কের সূত্র ধরে বিজেপি বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে তীব্র আক্রমণ করলেন মদন মিত্র। মঙ্গলবার তিনি উত্তরপাড়া স্টেশন রোডে বালির নিশ্চিন্দা এলাকার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মসূচিতে যোগ দেন। সেখান থেকেই শুভেন্দুকে আক্রমণ করেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক।
মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা হিসাবে যোগ দেওয়ার পর আলাপনের বেতন কত হচ্ছে, তা নিয়ে আক্রমণ করেছিলেন শুভেন্দু। তার জবাবে মদন বলেন, ‘‘শুভেন্দুর সমস্যা হচ্ছে ওঁর উচ্চারণ করতে অসুবিধা হচ্ছিল, আড়াই লাখ, আড়াই কোটি না আড়াই হাজার কোটি। কারণ হলদি নদীর জলে কত হাজার কোটি টাকা ডুবিয়ে রেখেছে সেটা উনিই জানেন। শুভেন্দুকে বলব, আলাপনকে নিয়ে বলার আগে ওঁর মনে রাখা উচিত, আলাপন উচ্চ-মাধ্যমিকে মেধাতালিকায় স্থান পেয়েছিলেন। আইএএস পরীক্ষাতেও তাই। কথায় বলে না, কথা যোগ্যতা দেখে বলা উচিত। শুভেন্দুর এই যে কো-অপারেটিভগুলো আছে সেগুলো একটু নাড়াচাড়া করে দেখা যাক না যে আড়াই লাখ টাকা মাইনে বেরোয়, না আড়াই কোটি টাকা।’’
কেন্দ্র রাজ্য টানাপড়েনের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আলাপন। মুখ্যমন্ত্রী নিজেও বলেছিলেন, আলাপনের নাম ইতিহাসে লেখা থাকবে। সেই বিষয় নিয়ে বলতে গিয়ে মদন বলেন, ‘‘অনেকের মুখে অনেক কথা মানায় না, যেমন শুভেন্দুর মুখে আলাপন প্রসঙ্গ। আলাপনের ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে, তার পরেও হাসতে হাসতে লড়াই করেছেন। আলাপন হচ্ছেন বাংলার অলঙ্কার। আমি স্যালুট জানাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে, কোনও দাম দিয়েই আলাপনের মতো অফিসার বাংলায় তৈরি করা যাবে না’’।
এর পরেই শুভেন্দুকে হুঁশিয়ারির সুরে মদন বলেন, ‘‘একটু অপেক্ষা করুন, সবে তো আমাদের খেলাটা চলছে। এর পর শুরু হবে কো-অপারেটিভের খেলা, এমপির খেলা। শুভেন্দু ডাকাত না, ডাকাতদের সর্দার। কী করে একে বুঝে নিতে হয়, আমরা বিধানসভায় বুঝে নেব। আর একটা কথা, প্রধানমন্ত্রী ভুলে গিয়েছেন দাড়ি রাখলেই কেউ রবীন্দ্রনাথ হয় না, ওঁকে লোকে খগেন্দ্রনাথ ভাবছে’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy