পরীক্ষার্থীদের মাঝে মুখ্যমন্ত্রী। —নিজস্ব চিত্র।
গত বছর মাধ্যমিকের একের পর এক প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় মুখ পুড়েছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদের। এ বছরও বাংলা পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ায় অস্বস্তিতে পড়েছে পর্ষদ। বাকি পরীক্ষার দিনগুলিতে কী হবে, তা নিয়ে এখন আশঙ্কায় পর্ষদ আধিকারিকরা। বুধবার দ্বিতীয় ভাষার (ইংরাজি) পরীক্ষা হয়েছে। প্রশ্নফাঁস আদৌ আটকানো যাবে কি, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে শিক্ষা মহলে।
পর্ষদ সূত্রে খবর, বাংলা প্রশ্নপত্রের যে দু’টি পাতা সোশাল সাইটগুলোতে ঘুরছিল, পরে তা মিলেও যায়। একটি পাতার পিছনে ‘লুজ শিট’ লেখা একটি পাতা দেখা গিয়েছে। পরীক্ষাকেন্দ্রের বেঞ্চে পরীক্ষার্থীদের নাম, রোল নম্বর-সহ যেকাগজ সাঁটা থাকে, তার কিছুটা অংশ দেখা গিয়েছে ছবিতে। তা খতিয়ে দেখে দোষীকে খোঁজার চেষ্টা হচ্ছে। এ বছর প্রায় ১০ লাখ পড়ুয়া মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছেন।যদিও প্রশ্নফাঁস নিয়ে পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় কোনও মন্তব্য করতে চাননি। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, সরকারের বদনাম করতে এসব করা হচ্ছে। দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গতকাল পরীক্ষা শুরুর দিন বাংলার প্রশ্নপত্রের দু’টি পাতা হোয়াটসঅ্যাপে ছড়িয়ে পড়ার পর, বুধবার পরীক্ষা কেন্দ্রে নজরদারি আরও আঁটসাঁট করা হয়েছে বলে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সূ্ত্রে খবর। সেই সঙ্গে বাংলার প্রশ্নপত্র কী ভাবে হোয়াটসঅ্যাপে ছড়িয়ে পড়ল, শুরু হয়েছে তার তদন্তও।
আরও পড়ুন: তাপস রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার, বিস্ফোরক মমতা
আরও পড়ুন: কেওড়াতলায় তাপসের দেহ, গান স্যালুটে শেষ বিদায়
এ দিন পরীক্ষা শুরু হয়েছে বেলা ১২টা নাগাদ। মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানাতে খোদ মুখমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেলতলা গার্লস আর ভবানীপুর গার্লস হাইস্কুলে পৌঁছন। পড়ুয়াদের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি। পরীক্ষা শুরুর দিনকলকাতার চারটি স্কুলে গিয়ে পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করেন পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মাও।
প্রশ্ন ফাঁস আটকাতে পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। কেন্দ্রগুলির বাইরেও রয়েছে পুলিশ। পড়ুয়ারা তো বটেই, এমনকি শিক্ষক-শিক্ষিকারাও মোবাইল ব্যবহার করতে পারবে না পরীক্ষা কেন্দ্র।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, বিভিন্ন জেলায় মোট ৪৩টি ব্লকে ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়েছে। তা সত্ত্বেও বাংলার প্রশ্নপত্র পরীক্ষা চলাকালীন বাইরে বেরিয়ে যায়। গত বছরের মাধ্যমিকের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র একের পর এক ‘ফাঁস’ হয়ে যাওয়ায় অস্বস্তিতে পড়েছিল পর্ষদ। তা থেকে শিক্ষা নিয়ে এ বছর নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে। তার পরেও বাংলার প্রশ্নপত্র সোশাল মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy