E-Paper

পুরপ্রধানকে ‘ধমক’, ফের চর্চায় মহুয়া

নতুন করে দলের সাংগঠনিক জেলার দায়িত্ব পাওয়ার পরেই লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন মহুয়া।

সুস্মিত হালদার 

শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৬:৫১
mahua moitra

মহুয়া মৈত্র। —ফাইল চিত্র।

ফের চর্চার কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র। এ বার দলের মধ্যেই।

দলীয় সূত্রের খবর, প্রশাসনিক কাজকর্ম নিয়ে কৃষ্ণনগরের পুরপ্রধান রীতা দাসকে ‘ভর্ৎসনা’ করেছেন স্থানীয় সাংসদ মহুয়া। আর তা নিয়েই কৃষ্ণনগরে তৃণমূলের অন্দরে তুমুল আলোড়ন তৈরি হয়েছে। দলের একটি অংশের অভিযোগ, এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে প্রধানের সঙ্গে চূড়ান্ত ‘দুর্ব্যবহার’ করেছেন সাংসদ। আর অন্য অংশের দাবি, পুরসভার কাজকর্মে স্বচ্ছতা নিয়ে নানা অভিযোগ পেয়েই এই পদক্ষেপ করেছেন মহুয়া।

নতুন করে দলের সাংগঠনিক জেলার দায়িত্ব পাওয়ার পরেই লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন মহুয়া। গত বুধবার রাতে তৃণমূলের জেলা কার্যালয়ে শহর তৃণমূলের নেতা-কর্মী ও পুরপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। সেখানেই তিনি পুরসভার কয়েকটি বিষয় নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন বলে দলীয় সূত্রের দাবি।

তৃণমূলের একটি সূত্রের অভিযোগ, পুরপ্রধান রীতার ছেলে দেবজ্যোতি পুরসভায় মায়ের কার্যালয়ে, টেবিলের পাশ বসে থাকেন এবং কেউ কোনও কাজে গেলে অনেক ক্ষেত্রে তিনিই কথা বলেন। বকলমে তিনিই অনেক সিদ্ধান্ত নেন বলে দলের পুরপ্রতিনিধিদের একাংশ অভিযোগ জানান মহুয়ার কাছে। এক জন ঠিকাদারও সর্বক্ষণ পুরপ্রধানের ঘরে বসে থাকেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সে দিকে ইঙ্গিত করে বৈঠকে মহুয়া সতর্ক করেন, ‘কারও আত্মীয় বা কোনও ঠিকাদার যেন পুরপ্রধানের ঘরে বসে না থাকেন।’ তবে পুরপ্রধান শুক্রবার দাবি করেছেন, “বৈঠকে কেউ এমন কোনও কথা বলেছেন বলে আমার জানা নেই। তা ছাড়া, দলের সাংগঠনিক বৈঠকের বিষয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না।” সরকারি কাজে দরপত্র নিয়েও কিছু অভিযোগ থাকায় মহুয়া তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক করে দেন বলেও জানা গিয়েছে।

আরও অভিযোগ, অনেক ক্ষেত্রেই পুরকর প্রথমে বাড়িয়ে, পরে তা অনেকটাই কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যার ফলে দালালচক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। পরে পুরপ্রধান বলেন, “সরকারি নির্দেশিকা মেনেই সব কাজ করি।” পুরপ্রধানের দাবি, “দরপত্রের মাধ্যমেই পুরসভার সব কাজ করা হয়।” কৃষ্ণনগরে বিদ্যুতের নতুন সংযোগ নিতে গেলে পুরসভাকে টাকা দিয়ে ‘নো-অবজেকশন সার্টিফিকেট’ নিতে হয়। শহরের বাড়ি বাড়ি ময়লা সংগ্রহের জন্য নাগরিকদের কাছ থেকে ১০-৫০ টাকা পর্যন্ত অর্থ সংগ্রহ করা হয়। এই বিষয়গুলি নিয়েও মহুয়া ওই বৈঠকে প্রশ্ন তুলেছেন বলে দলের একাংশের দাবি।

অন্য দিকে, ওই বৈঠকে পুরপ্রধানকে কার্যত ‘হেনস্থা’ করা হয়েছে বলে দাবি করছেন পুরপ্রতিনিধিদের একাংশ। বিষয়টি পৌঁছেছে দলের নেতৃত্বের কানেও। তৃণমূলের কৃষ্ণনগর শহর কমিটির সভাপতি প্রদীপ দত্ত অবশ্য বলেন, “পুর-পরিষেবার ভাল-মন্দ দেখার দায়িত্ব সাংসদেরও। তিনি ঠিক কাজই করেছেন।” সাংসদ মহুয়ার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সাড়া পাওয়া যায়নি।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Mahua Moitra TMC

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy