এলাকার একমাত্র নিকাশি খালের উপর কোথাও বসছে কালভার্ট, কোথাও মাথা তুলছে বাড়ি, দোকানও। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়, কাশীপুর এবং কেএলসি থানা এলাকার প্রধান নিকাশি খালটির এই দশা দেখে চিন্তায় রয়েছেন সাধারণ মানুষ। তাঁদের আশঙ্কা, জবরদখলের এই প্রবণতা প্রশাসন এখনই কড়া হাতে না রুখলে সামান্য বৃষ্টিতে জলে ডুবে যাবে এলাকা।
অনেকেরই অভিযোগ, শাসকদলের মদতেই ওই খাল এবং সংলগ্ন জমি বুজিয়ে জবরদখল করা হচ্ছে। বারবার প্রশাসনিক স্তরে অভিযোগ জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনও সুরাহা মেলেনি। বারুইপুরের মহকুমাশাসক শ্যামা পরভিন অবশ্য বলেন, ‘‘আমাদের কাছেও এমন খবর আসছে। নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেব। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু জায়গা জবরদখল হওয়ার খবর ভূমি দফতরকে দেওয়া হয়েছে। তারা মামলাও করেছে। আরও খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’
ভাঙড়ের তৃণমূল বিধায়ক রেজ্জাক মোল্লা বলেন, ‘‘আমাদের কাছেও এমন অভিযোগ আসছে। প্রশাসন তদন্ত শুরু করেছে। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
ভাঙড়ের কাঁঠালিয়া হাইস্কুল থেকে ৯১ নম্বর বাসস্ট্যান্ড এবং পূর্ব কাঁঠালিয়া থেকে ভাঙড়ের বিজয়গঞ্জ বাজার পর্যন্ত রাস্তার পাশে রয়েছে খালটি। ওই খাল দিয়েই এলাকার নিকাশি জল বের হয়। খালটি ভাঙড়ের বাগজোলা-কুলটি খালের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ভাঙড়-২ ব্লকের কাঁঠালিয়া, পানাপুকুর, বেঁওতা এলাকায় সেই খালের উপরে সার দিয়ে কালভার্ট করে তৈরি হয়ে গিয়েছে দোকান, বাড়ি। আসগর মোল্লা নামে এক গ্রামবাসী বলেন, ‘‘যে ভাবে খাল ও জলাশয় ভরাট হচ্ছে তাতে ভাঙড়ের নিকাশি ভেঙে পড়তে পারে। এ নিয়ে বারবার বলা হয়েছে নেতাদের। কিন্তু সর্ষের মধ্যেই ভূত। তাই কাজ হচ্ছে না।’’