Advertisement
১০ অক্টোবর ২০২৪
Sexual Harassment

আতঙ্কে যৌন নিগ্রহের মামলার সাক্ষী, দাবি অডিয়োয়

গত সপ্তাহে জেলার এক ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রাতে কর্তব্যরত নার্সকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় স্থানীয় এক রোগী শেখ আব্বাসউদ্দিনকে। বর্তমানে অভিযুক্ত জেল হেফাজতে রয়েছে।

Representative Image

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ইলামবাজার শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৬:৪৫
Share: Save:

আর জি কর কাণ্ডের আবহের মধ্যেই দিন কয়েক আগে বীরভূমের এক ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নার্সকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত রোগীকে। সেই মামলাতেই এ বার সাক্ষ্য দিতে অস্বীকার করে অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শী তথা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এক কর্মীর অডিয়ো ক্লিপ (আনন্দবাজার সেটির সত্যতা যাচাই করেনি) ছড়াল সমাজমাধ্যমে। ওই স্বাস্থ্যকর্মীর দাবি, সাক্ষ্য দিলে তাঁর প্রাণসংশয় হতে পারে। তবে এমন কোনও অভিযোগ তাদের কাছে কেউ করেনি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

গত সপ্তাহে জেলার এক ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রাতে কর্তব্যরত নার্সকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় স্থানীয় এক রোগী শেখ আব্বাসউদ্দিনকে। বর্তমানে অভিযুক্ত জেল হেফাজতে রয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, উপস্থিত স্বাস্থ্যকর্মীরা পুলিশের কাছে সাক্ষ্য দিতে রাজিও হন। সেই মতো যৌন নিগ্রহ-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ। তার পরেই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মী সাক্ষ্য দিতে রাজি হচ্ছেন না বলে একটি অডিয়ো ক্লিপ ছড়িয়ে পড়ে।

স্বাস্থ্যকেন্দ্র সূত্রে দাবি, অডিয়োতে ওই কর্মীর সঙ্গে এক ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের কথোপকথন শোনা যাচ্ছে। সেখানে ওই স্বাস্থ্য আধিকারিক বলছেন, “তুমি সংবাদমাধ্যম থেকে শুরু করে সব জায়গায় বলেছ। অভিযোগপত্র লিখে দেওয়াতেও সাহায্য করেছ। তাহলে এখন পিছিয়ে আসছ কেন? এ ভাবে যদি আমরা পিছিয়ে যাই তাহলে আমরা ব্যর্থ হয়ে যাব।” ওই কর্মী বলেন, “স্যর আমি আপনার কথা বুঝতে পারছি। কিন্তু আমি যেতে পারব না। আমার প্রাণসংশয় রয়েছে।’’

অডিয়ো ক্লিপে শোনা গিয়েছে, ওই আধিকারিক প্রাণ সংশয়ের কথা পুলিশকে জানাতে বলছেন। তার উত্তরে ওই কর্মী বলতে থাকেন, “ওসিও দায়িত্ব নেবে না। দু'বছর পর আপনিও চলে যাবেন, ওরাও চলে যাবে স্যর।’’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের এক স্বাস্থ্যকর্মী বলেন “আমরা অনেক বোঝানোর চেষ্টা করেছি সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য। কিন্তু উনি কোনও ভাবেই রাজি হচ্ছেন না। এ ভাবে যদি আমরা পিছিয়ে যাই তাহলে অপরাধীরা আরও বেশি সাহস পাবে।’’

ওই ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। ওই চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর ফোন বন্ধ ছিল। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘অভিযোগ জানালে সাক্ষীকে সব রকম ভাবে নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Sexual Harassment
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE