ধুন্ধুমার। হাওড়া আদালতে আইনজীবীদের সঙ্গে পুরকর্মীদের সংঘর্ষ। ভিডিয়ো থেকে নেওয়া ছবি
বাইক এবং গাড়ি পার্ক করাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল হাওড়া আদালত এবং পুরনিগম চত্বর। পুরনিগমের কর্মীদের সঙ্গে হাওড়া আদালতের আইনজীবীদের সংঘর্ষ থামাতে বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছতে হয় খোদ পুলিশ কমিশনারকে। ঘটনাস্থলে যান মন্ত্রী অরূপ রায়ও। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন দু’পক্ষের অন্তত সাতজন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, এ দিন সমস্যার শুরু সকাল ১০টার পর থেকেই। হাওড়া পুরনিগম এবং হাওড়া আদালত প্রায় পাশাপাশি। পুরনিগমের কর্মীদের অভিযোগ, আইনজীবীদের একটা বড় অংশই প্রতিদিন তাঁদের গাড়ি এবং বাইক বাইরে পুরনিগমের পার্কিংয়ের জায়গায় পার্ক করে রাখেন। এর ফলে পুরনিগমের কর্মীরা জায়গা পান না নিজেদের গাড়ি বা বাইক রাখার।
এ বিষয়ে নিয়ে আগেও বেশ কয়েকবার পুরনিগমের কর্মীদের সঙ্গে বচসা হয়েছে আইনজীবীদের একাংশের। তবে তা এ দিনের মত সংঘর্ষে গড়ায়নি কখনও। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, এ দিন সকালে আইনজীবীরা তাঁদের গাড়ি এবং বাইক পার্ক করতে গেলে পুরনিগমের নিরাপত্তা রক্ষীরা বাধা দেন। তাঁরা বলেন, পুরনিগমের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, পুরকর্মী ছাড়া অন্য কেউ পুরনিগমের পার্কিংয়ে গাড়ি রাখতে পারবেন না। নিরাপত্তা কর্মীদের কাছে বাধা পাওয়ার পরই বচসা শুরু হয়ে য়ায়।
আরও পডু়ন: পরিবার থেকে কেন বিচ্ছিন্ন, এই প্রথম কি মুখ খুললেন মোদী? অক্ষয়কে বললেন...
আরও পড়ুন: ৫০ শতাংশ ইভিএমে ভোটার স্লিপ গুনে দেখার আর্জি, সুপ্রিম কোর্টে ২১ বিরোধী দল
খবর ছডি়য়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আদালত চত্বর থেকে ছুটে আসেন আইনজীবী এবং তাঁদের সহকারী মুহুরিরা। অন্য দিকে চলে আসেন পুরকর্মীরাও।বচসা থেকে হাতাহাতি এবং তার পরে শুরু হয়ে যায় মারামারি। সংঘর্ষ আরও বাড়তে থাকে এবং দু’পক্ষই একে অপরকে লক্ষ্য করে ইট বৃষ্টি শুরু করে। ঘটনাস্থলে পুলিশ এলে তাঁরাও ওই ইটবৃষ্টির মুখে পড়েন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হওয়ায়, অতিরিক্ত বাহিনী এবং র্যাফ নামানো হয়। হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের এক কর্তা বলেন,‘‘পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে আমাদের লাঠি চার্জও করতে হয়।”
আদালত চত্বরের বাইরে এবং ভিতরেও পুলিশ লাঠি চার্জ করে মারমুখী আইনজীবী এবং পুরকর্মীদের বাগে আনতে। পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে উঠলে অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে যান পুলিশ কমিশনার বিশাল গর্গ। খবর পেয়ে চলে আসেন মন্ত্রী অরূপ রায় এবং হাওড়ার মেয়র রথীন চক্রবর্তী। তাঁরা দু’পক্ষকেই সংযত করার চেষ্টা করেন। তার মধ্যেই আইনজীবীদের একাংশ মন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে থাকেন। তবে বাকি আইনজীবীরা তাঁদের সরিয়ে দেন যাতে ফের উত্তেজনা না ছড়ায়। ঘটনাস্থলে এখনও মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী এবং র্যাফ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy