Advertisement
E-Paper

ইঞ্জিনিয়ারিং পড়লে জরুরি সমাজসেবাও

মৌলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বা ‘ম্যাকাউট’-এর কর্তৃপক্ষ ছাত্রছাত্রীদের সমাজ গড়ার কাজে যুক্ত করতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মানুষের দুঃখদুর্দশা, খেলাধুলো, শিল্প-সংস্কৃতি, সৃষ্টিশীল কাজ, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য উন্নয়নমূলক কাজের মতো বিষয় তথ্যচিত্রের থিম হতে পারে।

সুপ্রিয় তরফদার

শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭ ০২:০৪
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

মেধার জোরে ই়ঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সুযোগ মিলেছে বলে সামাজিক দায় এড়িয়ে থাকার ছাড়পত্র মেলে না। তাই ২০১৮ থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাঠ্যক্রমে আবশ্যিক বিষয় হিসেবে ঢুকে পড়ছে ‘তথ্যচিত্র’ তৈরির কাজ।

মৌলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বা ‘ম্যাকাউট’-এর কর্তৃপক্ষ ছাত্রছাত্রীদের সমাজ গড়ার কাজে যুক্ত করতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মানুষের দুঃখদুর্দশা, খেলাধুলো, শিল্প-সংস্কৃতি, সৃষ্টিশীল কাজ, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য উন্নয়নমূলক কাজের মতো বিষয় তথ্যচিত্রের থিম হতে পারে।

কেন এই ভাবনা? ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্তা জানান, অন্তত ৯০টি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ রয়েছে ম্যাকাউটের অধীনে। সম্প্রতি অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন বা এআইসিটিই ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সব পাঠ্যক্রমে কিছু পরিবর্তন আনার নির্দেশ দিয়েছে। সেই নির্দেশিকা মেনেই বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেন, যন্ত্রপাতি নিয়ে পড়াশোনা করে অনেকেই কৃতিত্ব অর্জন করেন। কিন্তু সমীক্ষা বলছে, ওই সব পড়ুয়া সামাজিক কাজকর্ম থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন। যে-হেতু ইঞ্জিনিয়ারদের সব কাজই সমাজের জন্য উৎসর্গীকৃত, তাই সমাজকে ভাল ভাবে না-চিনলে সেই কাজ করা যায় না। এই ভাবনা থেকেই চার বছরের ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের পড়ুয়াদের নানা সামাজিক কাজে যুক্ত করা হবে।

আবশ্যিক হিসেবে পাঠ্যক্রমে এই নতুন বিষয় যুক্ত করতে তিন জনকে নিয়ে একটি কমিটি গড়া হচ্ছে। ঠিক হয়েছে, প্রতিটি সেমেস্টারের সঙ্গেই ‘তথ্যচিত্র’ থাকবে। সেমেস্টার শেষে তা সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের কাছে জমা পড়বে। তার ভিত্তিতে নম্বর (পয়েন্ট) দেবেন ওই শিক্ষকেরা। সেই নম্বর যোগ করে চার বছরের শেষে একটি পৃথক শংসাপত্র দেওয়া হবে পড়ুয়াদের। বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষ জানান, কাউন্সেলিংয়ে সেই শংসাপত্র গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হবে। এই আবশ্যিক বিষয়ের পয়েন্ট বা নম্বরের উল্লেখ থাকবে মার্কশিটেও।

ওই প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সৈকত মৈত্র জানান, আবশ্যিক বিষয়গুলিকে সাত ভাগে ভাগ করা হয়েছে। তার পরেও যদি কোনও কলেজ নতুন বিষয় যুক্ত করতে চায়, তা হলে প্রতি বছরের ৩১ এপ্রিলের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে সেই প্রস্তাব পাঠাতে হবে। এত দিন পরে এই উদ্যোগ কেন?

উপাচার্য জানান, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বহু পড়ুয়াই সাধারণ নাগরিক জীবন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছেন। এক সময়ে তাঁদের মধ্যে হতাশা তৈরি হচ্ছে। ‘‘সমাজের সঙ্গে পড়ুয়ারা ওতপ্রোত ভাবে যুক্ত থাকুন, এটাই আমাদের লক্ষ্য। আমরা চাই, পড়ুয়ারা শারীরিক ও মানসিক ভাবেও কাজে ব্যস্ত থাকুন,’’ বলেন সৈকতবাবু।

Education Engineering Syllabus ইঞ্জিনিয়ারিং
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy