নতুন শিক্ষাবর্ষের একমাস পরে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারেনি দেড়শো পড়ুয়া। এক মাস ধরে ঘোরাঘুরি করে সমস্যা না মেটায় ছাত্রছাত্রীদের ভর্তির দাবিতে স্কুলের প্রধানশিক্ষক ও অন্য শিক্ষকদের অফিস ঘরে তালাবন্দি করে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবক-সহ এলাকার বাসিন্দার। শুধু তাই নয়, তাঁদের উদ্ধার করতে আসা ফাঁড়ির ইনচার্জ সহ দুই পুলিশ কর্মীকে শিক্ষকদের সঙ্গে একই ঘরে আটকে রাখা হয় বলে অভিযোগ। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের ফতেপুর নিম্ন বুনিয়াদী বিদ্যালয়ে তথা জুনিয়র হাই স্কুলে শুক্রবার ঘটনাটি ঘটে। পুলিশের হস্তক্ষেপে তিন ঘণ্টা পরে ঘেরাও মুক্ত হন সকলে। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) আশিস চৌধুরী বলেছেন, “ওই স্কুলটি সদ্য জুনিয়র হাই স্কুলে উন্নীত হয়েছে। এখনও কোনও শিক্ষক পাঠানো যায়নি। এলাকার পড়ুয়াদের যাতে সমস্যা না হয় তা দেখা হচ্ছে। স্কুলগুলিতে ভর্তির ব্যবস্থা করা হবে।” অভিভাবকরা জানান, ভালুকাবাজার আরএমএম বিদ্যাপীঠ ও দৌলতনগর হাই স্কুল রয়েছে। কিন্তু ফতেপুর নিম্ন বুনিয়াদী স্কুলটি জুনিয়র হাই স্কুলে উন্নীত হওয়ায় ওই দুটি হাই স্কুল আর ফতেপুরের পড়ুয়াদের ভর্তি নিচ্ছে না। পাশাপাশি ফতেপুর জুনিয়র হাই স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ না হওয়ায় সেখানে ভর্তি নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। ছেলেমেয়েদের ভর্তি করতে না পেরে এদিন সকাল থেকেই স্কুল ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে দুপুর ১টা টা পর প্রধান শিক্ষক সহ তিন শিক্ষককে অফিস ঘরে ঢুকিয়ে তালা মেরে দেওয়া হয়। পুলিশের হস্তক্ষেপে শিক্ষক এবং পুলিশ কর্মীরা মুক্ত হলেও দু’দিনের মধ্যে সমস্যা না মিটলে পথ অবরোধ-সহ বৃহত্তর নানা আন্দোলনে নামা হবে বলে হুমকি দিয়েছেন অভিভাবকেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy