Advertisement
১০ মে ২০২৪
Suvendu Adhikari

Suvendu Adhikari & Mamata Banerjee: মুখ্যমন্ত্রীর লেখা ‘কবিতাবিতান’ সরকারি গ্রন্থাগারে! শুভেন্দুর অভিযোগ ওড়ালেন মন্ত্রী

মুখ্যমন্ত্রী তাঁর লেখা কবিতাবিতান বইটি সরকারি গ্রন্থাগারে কিনে রয়্যালটি পাওয়ার পথ সুগম করছেন। এমনই অভিযোগ করেছিলেন শুভেন্দু।

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ ওড়ালেন গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ ওড়ালেন গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ মে ২০২২ ২০:১১
Share: Save:

পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমির পক্ষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে‘কবিতাবিতান’ বইয়ের জন্য বিশেষ এক পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। তারপর থেকেই বিরোধী দলগুলি তাঁর পুরস্কার পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে নানাভাবে কটাক্ষ করছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আবার এক ধাপ এগিয়ে অভিযোগ করেছেন ‘কবিতাবিতান’ বইটি সরকারি গ্রন্থাগার মারফত কিনে মুখ্যমন্ত্রী রয়্যালটি আদায়ের পথ সুগম করছেন। যদিও, তাঁর এমন দাবি মানতে নারাজ রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী।

সোমবার নিজের ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট শেয়ার করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু। সেখানে তিনি লেখেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে গ্রন্থাগারের সংখ্যা২,৪৮০। পুরস্কার প্রাপ্ত কোনও বই প্রতিটি গ্রন্থাগারন্যূনতম ১০টি কিনতে পারে। পুরস্কার প্রাপ্ত বইটির প্রতি কপির মূল্য ১,২০০ টাকা। ক্রয়মূল্যের উপর ১০ শতাংশ লেখকের প্রাপ্ত রয়্যালটি। শুধুমাত্র গ্রন্থাগারের কেনা বই থেকে লেখকের প্রাপ্ত রয়্যালটি বাবদ মোট অর্থ ২৯ লক্ষ ৭৬ হাজার টাকা। একদম আইনি ভাবে অর্জিত সাদা টাকা।’ তিনি আরও লেখেন, ‘এই টাকাটা আপনার আমার ট্যাক্সের টাকা থেকে এসেছে, যেহেতু গ্রন্থাগার সরকারি টাকায় বই কেনে। কবিতা নামে একগুচ্ছ প্রলাপ লিখে (কবিতাবিতান), সেটাকে (আকাদেমি) পুরস্কার দিয়ে, গ্রন্থাগারগুলিকে দিয়ে আমার আপনার টাকায় এই বই কিনিয়ে সাদা টাকা উপার্জন করা হল আমার আপনার চোখের সামনে। যে বইটি আপনি কেনা তো দূরের কথা, ছুঁয়েও দেখবেন না।’

তবে বিরোধী দলনেতার এমন দাবি খারিজ করে রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ বলেন, ‘‘গ্রন্থাগার দফতরের তরফে মুখ্যমন্ত্রীর কবিতাবিতান বইটি কেনার কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। বিরোধী দলনেতা যে দাবি করছেন তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।’’ তাঁর আরও বক্তব্য, ‘‘রাজ্যের সমস্ত গ্রন্থাগারকেই তাঁদের প্রয়োজন মতো বই কেনার স্বাধীনতা দিয়েছে গ্রন্থাগার দফতর। কোনও সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়ার পক্ষে রাজ্য সরকার নেই। তাই বিরোধী দলনেতা জনমানসে মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই এমন অসত্য কথা বলছেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE