ফাইল চিত্র।
উত্তরবঙ্গকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার দাবি নিয়ে এ বারে সংসদে যাওয়ার কথা বললেন আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লা। ডুয়ার্সের একটি নেপালি পোর্টালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, এই নিয়ে বিজেপি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা এ বারে রক্ষা করুক। যদিও বিজেপি এমন কোনও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কিনা, তা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি দলের অন্য নেতারা। তবে সঙ্ঘ সূত্রে বলা হচ্ছে, এটা তাদের পুরনো লাইন। সোমবারই নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই নিয়ে কড়া ভাষায় বলেছেন, “কোনও রকম ‘ডিভাইড অ্যান্ড রুল’ আমরা করতে দেব না। রাজ্য সরকারের অনুমতি ছাড়া এ সব করা যায় না।’’
বিধানসভা ভোটে বিজেপির হারের পরই উত্তরবঙ্গে এমন একটি আবহ তৈরির চেষ্টা শুরু হয়েছে বলে ইঙ্গিত বিভিন্ন সূত্রে। আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি এবং দার্জিলিংকে আলাদা করে দেখা হচ্ছে সেখানে। এই জেলাগুলিতে বিজেপির ফল তৃণমূলের তুলনায় ভাল। যদিও বিজেপির অন্য কোনও নেতা প্রকাশ্যে এই নিয়ে কিছু বলতে চাননি। রবিবার রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী। তিনি বলেন, “কে কী বলেছেন, জানি না। ভার্চুয়াল বৈঠকে শুধুমাত্র সাংগঠনিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।” জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত রায় বলেন, “উত্তরবঙ্গে কেন্দ্রীয় শাসনের দাবি নিয়ে দলস্তরে কোনও প্রাথমিক আলোচনাও হয়নি।”
মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য এই দাবিকে অঙ্কুরেই বিনষ্ট করতে চেয়েছেন। তিনি এ দিন বলেন, ‘‘বিজেপি যদি মনে করে, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং, কোচবিহার বিক্রি করে দেবে, এত সস্তা নয়।’’ তাঁর আরও মন্তব্য, “যারা কোনও দিন কিছু করল না, শুধু মিথ্যে কথা বলে গেল, তারা চায় তার বিনিময়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল! এটার মধ্যে নিশ্চয়ই ওদের কেন্দ্রের নেতারা আছেন।’’ মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য, “এত বড় ধাক্কা (বাংলার ভোটে বিজেপির হার) খেয়েও লজ্জা করে না। বাংলাভঙ্গের দিকে যে তাকাবে, বাংলার মানুষ তাকে যোগ্য জবাব দেবে। যাঁরা ভুয়ো ভিডিয়ো করে বাংলাকে অসম্মান করে বেড়াচ্ছেন, তাঁদের এক দিন বুকে লিখে ঘুরতে হবে— বিজেপি করি না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy