মোমের-আলোয়: কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার প্রতিবাদে শহরের পথে মুখ্যমন্ত্রী। ছবি: সুমন বল্লভ।
সন্ত্রাস মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলওয়ামায় নিহত জওয়ানদের শ্রদ্ধা জানাতে শনিবার বিকেলে কলকাতায় মোমবাতি মিছিল করেন তৃণমূল নেত্রী। একই দিনে ধর্মতলা থেকে মিছিল করে বামেরাও।
হাজরা থেকে গাঁধীমূর্তি পর্যন্ত মিছিলের শেষে মমতা বলেন, ‘‘দেশ ঐক্যবদ্ধ হলে জঙ্গি দমন অনেক সহজ হবে। সন্ত্রাসবাদীদের কোনও ধর্ম হয় না। জাত বা বর্ণ নেই। তাই তাদের সব ধর্ম, বর্ণ, জাতি একসঙ্গে মিলে দমন করতে হবে।’’ মিছিলের শেষে গাঁধী মূর্তির পাদদেশে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। নিহত জওয়ানদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপনে আজ, রবিবার বেলা দু’টো থেকে তিনটে পর্যন্ত রাজ্যের প্রতি ব্লকে কর্মীদের শান্তিমিছিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। তবে মাধ্যমিক পরীক্ষা চলায় মাইক ব্যবহার না করতে বলা হয়েছে।
একই সময়ে ধর্মতলার লেনিন মূর্তির সামনে থেকে হাজরা পর্যন্ত মিছিল করার কথা ছিল বামেদের। ভুয়ো অর্থলগ্নি সংস্থায় প্রতারিতদের টাকা ফেরতের দাবি নিয়ে মিছিলের সিদ্ধান্ত ছিল আগেই। এ দিন তার সঙ্গে যুক্ত হয় পুলওয়ামার ঘটনা। বামেদের মিছিল শুরুর খানিকক্ষণের মধ্যেই মেট্রো সিনেমা হলের সামনে তাদের আটকে দেয় পুলিশ। বলা হয়, তৃণমূলের মিছিল পার্ক স্ট্রিট থেকে গাঁধী মূর্তির দিকে ঘুরে গেলে তাদের ছাড়া হবে। মিনিট ২০ অপেক্ষার পরে বামেদের মিছিল এগনোর ছাড়পত্র পায়। কিন্তু ফের লিন্ডসে স্ট্রিটের সামনে আটকে দেওয়া হয় তাদের। তৃণমূলের মিছিল গাঁধী মূর্তির পাদদেশে পৌঁছনোর পরে মিছিল এগিয়ে যায় এক্সাইড মোড়ের দিকে। গন্তব্য হাজরা থাকলেও মিন্টো পার্কের দিকে বামেদের মিছিলের পথ ঘুরিয়ে দেয় পুলিশ। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর অভিযোগ, ‘‘যে ভাবে মুখ্যমন্ত্রীর মিছিলের জন্য আমাদের পথ আটকানো হল, তা অগণতান্ত্রিক।’’
মিছিলে বামেরাও। ম্যাটাডরে উঠছেন বিমান বসু। ছবি: রণজিৎ নন্দী।
বিজেপিও জওয়ানদের স্মৃতিতে আজ, রবিবার রাজ্যের প্রতি জেলায় দুপুর ১২টা থেকে দু’ঘণ্টা শান্তিপূর্ণ অবস্থান করবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy