মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুর বিধানসভা উপনির্বাচন। সেই উপনির্বাচনে প্রার্থী খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই ভোটের আগে শেষ সপ্তাহ জুড়ে ঝোড়ো প্রচার করতে চাইছেন তিনি। যদিও সোমবার থেকেই সেই প্রচার শুরু হয়ে গিয়েছে তাঁর। ওই দিন ৭১ নম্বর ওয়ার্ডের শম্ভুনাথ পণ্ডিত স্ট্রিটের শীতলা মন্দিরে গিয়ে সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে পুজো দিয়ে প্রচার সেরে এসেছেন তৃণমূলনেত্রী। আর মঙ্গলবার বিকেলে কলকাতা পুরসভার ৭৭ নম্বর ওয়ার্ডের একবালপুরের ইব্রাহিম রোডে এক সভায় অংশ নিতে পারেন তিনি। বুধবার ৮২ নম্বর ওয়ার্ডের অহীন্দ্র মঞ্চে বাছাই করা ভোটারদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন তিনি। বৃহস্পতিবার ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের চক্রবেড়িয়া নর্থ ও পদ্মপুকুর এলাকার দু’টি পৃথক সভায় ভোটারদের মধ্যে প্রচার চালাবেন ভবানীপুরের তৃণমূল প্রার্থী।
শনিবার ৬৩ নম্বর ওয়ার্ডের কলিন রোড ও শেক্সপিয়ার সরণি থানার কাছে দু’টি ছোট ঘরোয়া সভা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। ২৬ সেপ্টেম্বর ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে নিজের পাড়া হরিশ মুখার্জি স্ট্রিটে সভা করে নিজের নির্বাচনী প্রচার শেষ করবেন মমতা। যদিও, প্রচার করা যাবে ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত। কিন্তু একেবারে শেষবেলায় তৃণমূল নেত্রীর কোনও প্রচারসূচি রাখা হবে না বলেই তৃণমূল সূত্রে খবর। নির্দিষ্ট প্রচারসূচির পাশাপাশি কোনও কোনও এলাকায় আচমকা প্রচারে যেতে পারেন মমতা। নিজের ভোটের প্রচারে গত এক সপ্তাহে কখনও মুখ্যমন্ত্রী গিয়েছেন ভবানীপুর বিধানসভার অংশ একবালপুরের ষোলোআনা মসজিদ এলাকায়। আবার এসএসকেএম হাসপাতালের কাছে সন্ত কুটির গুরুরদ্বারে গিয়ে শিখ সম্প্রদায়ের সঙ্গে আলাপচারিতায় প্রচার সরে এসেছেন।
যদিও মমতার পাশাপাশি, তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী, মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, দক্ষিণ কলকাতার জেলা তৃণমূল সভাপতি দেবাশিস কুমার ও কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র লাগাতার প্রচার করছেন ভবানীপুরে। ২৬ সেপ্টেম্বর প্রচারে নামবেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক। তা সত্ত্বেও চলতি সপ্তাহে প্রচারে অনেক বেশি সক্রিয় থাকবেন মমতা। ভবানীপুরের ভোটের অন্যতম দায়িত্বপ্রাপ্ত জয়হিন্দ বাহিনীর সভাপতি কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘তৃণমূল নেত্রীর জয় সুনিশ্চিত। তা বলে কোনও আত্মতুষ্টির জায়গা নেই আমাদের। তাই ভোটের আগে শেষ সপ্তাহ জুড়ে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই প্রচারে নামছেন। এই প্রচারের ফলে আমার ভবানীপুর বিধানসভার ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ভোটের ব্যবধানে জিতব আমরা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy