—ফাইল চিত্র।
দলের তরফে ডাকা মঙ্গলবারের বৈঠকে তিনি যোগ দিলেন না আসানসোল পুরসভার প্রশাসক তথা তৃণমূলের ‘বিক্ষুব্ধ’ বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি। জানিয়েছেন, যা বলার সবটাই সরাসরি জানাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মমতা ছাড়া অন্য কারও বক্তব্যকে তেমন আমল দিচ্ছেন না। দলীয় সূত্রের খবর, মমতা উত্তরবঙ্গ থেকে ফিরলে তাঁর সঙ্গে জিতেন্দ্রর কথা হতে পারে।
এর মধ্যে তৃণমূলের ক্ষুব্ধের তালিকায় নয়া সংযোজন দলের বর্ষীয়ান নেতা বাণী সিংহরায়। সোমবার দল পরিচালনা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সামাজিক মাধ্যমে নিজের ক্ষোভের কথা জানান তিনি। অভিযোগ ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের দিকে। তিনি আরও জানিয়েছেন, দিন পাঁচেক আগে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন শুভেন্দু। এবং তিনি শুভেন্দুর সঙ্গে আছেন।
রাজনৈতিক কারণে রাজ্য সরকারের অনুমোদন না মেলায় কেন্দ্রীয় অনুদান থেকে আসানসোল বঞ্চিত হচ্ছে বলে, রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে এই মর্মে চিঠি দিয়েছিলেন জিতেন্দ্র। সোমবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরে চাপানউতোর ও কার্যত বাক্যুদ্ধ তৈরি হয় ফিরহাদ ও জিতেন্দ্রর মধ্যে। তৃণমূল সূত্রের খবর, ওই দিন দুপুরে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব জিতেন্দ্রকে মঙ্গলবার কলকাতায় ফিরহাদের সঙ্গে বৈঠকে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেয়। জিতেন্দ্র প্রথমে বৈঠকে যোগ দিতে রাজি হলেও পরে বেঁকে বসেন। জিতেন্দ্র এ দিন বলেন, ‘‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠক করে সব কিছু মেটানোর প্রস্তাব দিয়ে ফোন করেন। ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে কথা হয়নি। কিন্তু বৈঠকে যাব না। যা বলার সবটাই সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই বলব। আমার বক্তব্য শুনে মমতা যা বলবেন, শুনব। কিন্তু কে কী বললেন, তাতে আমার বয়ে গিয়েছে।’’ জিতেন্দ্র আরও জানান, বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। উত্তরবঙ্গ সফর সেরে মমতা কলকাতায় ফেরার পরে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy