জুন মাসের প্রথমার্ধে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি সফরে আসতে পারেন। রাজ্য প্রশাসন সূত্রের খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করছেন। তবে এখনও কিছুই চূড়ান্ত হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহের গোড়ায় দিল্লিতে যাওয়ার ভাবনার কথা ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন।যদিও ৯ জুন থেকে বিধানসভার অধিবেশন শুরু হচ্ছে। তা মুখ্যমন্ত্রীর দফতরকে মাথায় রাখতে হচ্ছে।
গত ২৪ মে নীতি আয়োগের পরিচালন পরিষদের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যোগ দেননি। নীতি আয়োগের কর্তারা অবশ্য জানান, যে মুখ্যমন্ত্রীরা বৈঠকে আসেননি, তাঁরা আগেই অনুপস্থিতির কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন। এ বার দিল্লি এলে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বা বিরোধী শিবিরের নেতানেত্রীদের সঙ্গে বৈঠক হবে কি না, তা নিয়ে চর্চা চলেছে।আগামী বছর বিধানসভা ভোটে তৃণমূল ‘একলা চলো’-র নীতি ঘোষণা করেছে। ফলে দিল্লিতে কংগ্রেস শীর্ষনেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের সম্ভাবনা কার্যত নেই বলেই মনেকরা হচ্ছে।
তৃণমূলের একাংশ মনে করছে, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের পদ থেকে সি ভি আনন্দ বোসকে সরিয়ে অন্য কাউকে নিয়োগের পরিকল্পনা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। তারপরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লি সফর এবং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সম্ভাব্য বৈঠক তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বদলীয় প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে পাকিস্তানের সন্ত্রাস তুলে ধরতে বিদেশে। এই দল থেকে ইউসুফ পঠানকে সরিয়ে নেওয়ার পরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু তৃণমূলনেত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। তার পরেই অভিষেক যোগ দেন।
১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনার মতো প্রকল্পে রাজ্যের বকেয়া নিয়ে ২০২৩-এর ডিসেম্বরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক করেছিলেন। এখনও ওই দুই প্রকল্পে রাজ্যকে টাকা মঞ্জুর করা হয়নি। বিধানসভা ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রী দিল্লিতে গেলে স্বাভাবিক নিয়মেই রাজ্যের বকেয়া নিয়ে সক্রিয় হবেন বলে তৃণমূল শিবির মনে করছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)