Advertisement
E-Paper

হিংসা ছড়ালে মন দিয়ে পেটাক পুলিশ, দাওয়াই মমতার

একই সঙ্গে মঙ্গলবার মমতা ফের জানিয়ে দিয়েছেন, গরু বেচাকেনা নিষিদ্ধ করে কেন্দ্র কোনও আইন তৈরি করতে পারে না। এটা পুরোপুরি রাজ্যের বিষয়। তাঁর কথায়, ‘‘যে যার ধর্ম পালন করবে। রমজানের সময়ে রমজান। পুজোর সময়ে পুজো।’’

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০১৭ ০৩:১১
ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

প্রহারেণ ধনঞ্জয়!

হিংসা, গোষ্ঠী-সংঘর্ষ দমনে পুলিশি দাওয়াই একটাই। প্রহার, বেধড়ক প্রহারই প্রেসক্রিপশন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাঁর বক্তব্য, কোথাও গোষ্ঠী-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলেই পুলিশ কঠোর ব্যবস্থা নিক। তাঁর কথায়, ‘‘পুলিশ দু’পক্ষকে পেটাক। মন দিয়ে পেটাক।’’ পুলিশকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বলে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, ‘‘কাউকে ছাড়বেন না। আমি করলে আমাকে মারবেন।’’

একই সঙ্গে মঙ্গলবার মমতা ফের জানিয়ে দিয়েছেন, গরু বেচাকেনা নিষিদ্ধ করে কেন্দ্র কোনও আইন তৈরি করতে পারে না। এটা পুরোপুরি রাজ্যের বিষয়। তাঁর কথায়, ‘‘যে যার ধর্ম পালন করবে। রমজানের সময়ে রমজান। পুজোর সময়ে পুজো।’’ বিজেপি যে রাজ্যে গোষ্ঠী-সংঘর্ষ বাধানোর চেষ্টা করবে, সেই অভিযোগও করেছেন মমতা। এ দিনই হত্যার জন্য গবাদি পশু বিক্রির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞার উপরে স্থগিতাদেশ দিয়েছে মাদ্রাজ হাইকোর্টের মাদুরাই বেঞ্চ। বিচারপতিরা চার সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্র ও তামিলনাড়ু সরকারকে নিজেদের মত জানাতে বলেছেন।

ব্যারাকপুরে এ দিনের প্রশাসনিক বৈঠকে গোষ্ঠী-সংঘর্ষ ও হিংসা নিয়ে উদ্বেগ চেপে রাখেননি মুখ্যমন্ত্রী। সম্প্রতি হাওড়া, দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগনা, ২৪ পরগনা, হুগলি ও মালদহে গোষ্ঠী-সংঘর্ষ হয়েছে। এ দিনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী দুর্ঘটনা রুখতে এবং যান-শাসনে পুলিশ কী কী ব্যবস্থা নিচ্ছে, তার খতিয়ান নিতে গিয়ে এই প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন।

আরও পড়ুন: করে দেখানোর স্বপ্ন ছাড়েননি শত যন্ত্রণাতেও

মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ব্যারাকপুর, দমদমের মতো জায়গায় বহু ভাষাভাষী এবং বিভিন্ন ধর্মের মানুষের বাস। পুলিশকে উত্তর ২৪ পরগনার হাজিনগরে গোষ্ঠী-সংঘর্ষের কথা মনে করিয়ে দেন তিনি। গত অক্টোবরে হালিশহর ও হাজিনগরের বিস্তীর্ণ এলাকায় গোষ্ঠী-সংঘর্ষের জেরে হিংসা ছড়িয়েছিল। প্রচুর ঘরবাড়ি দোকানপাটের ক্ষতি হয়। পোড়ানো হয় গাড়ি। এমন ঘটনা ঠেকাতে বিধাননগর ও ব্যারাকপুর কমিশনারেটের অধীন থানাগুলির আইসি-দের ‘স্মার্ট’ হতে হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি এ কথা বলেন ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার সুব্রত মিত্রের দিকে তাকিয়ে।

মমতার সাফ কথা, যখন প্রয়োজন, পুলিশ তখন মানবিক মুখ দেখাবে ঠিকই। কিন্তু অন্য সময়ে দুষ্টের দমন করতে হবে। বৈঠকে রাজ্য পুলিশের ডিজি সুরজিৎ করপুরকায়স্থ মুখ্যমন্ত্রীকে জানান, গোষ্ঠী-সংঘর্ষ বাধাতে পারে, হিংসা ছড়াতে পারে— সন্দেহজনক এমন কিছু লোকের নামের তালিকা আছে পুলিশের কাছে। পরিস্থিতি বুঝে, প্রয়োজনে তাদের গ্রেফতার করা হবে।

Mamata Banerjee Police মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় violence
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy