দু’লক্ষ সাইকেল বিতরণ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবারের মূল্যায়ন বৈঠকে মমতার নির্দেশ, পুরোপুরি স্বচ্ছতা রেখে কেনাকাটা করতে হবে। তেমন সংস্থাই অগ্রাধিকার পাবে, যারা রাজ্যে ভবিষ্যতে সাইকেল কারখানা তৈরি করবে। দরকারে চারটি সাইকেল কারখানা তৈরির অনুমতি দেবে রাজ্য।
গত পাঁচ বছরে ৮২ লক্ষ সাইকেল বিলি করা হয়েছে। গত বিধানসভা ভোটের ঠিক আগে সরকার প্রায় ২৫ লক্ষ সাইকেল বিলি করেছিল। এ বার স্কুল বন্ধ থাকায় তালিকা আসেনি। সাইকেলের বরাতও দেওয়া হয়নি। ধরে নেওয়া হচ্ছে যে, নবম শ্রেণিতে ১২-১৩ লক্ষ পড়ুয়া থাকবে। তাদের সাইকেল দেওয়ার জন্য ৪০০ কোটি টাকা প্রয়োজন। এ দিন মমতা জানিয়ে দিয়েছেন, দ্রুত দু’লক্ষ সাইকেল বিতরণের কাজ শেষ করতে হবে। মমতা বলেন, “তার পরে বাকি ১০ লক্ষের ব্যবস্থা করতে হবে। যারা সাইকেল কারখানা গড়তে চাইবে, তারা অগ্রাধিকার পাবে। সাইকেল কেনার দরপত্রের শর্তে বলতে হবে, তিন বছরের মধ্যে সাইকেল খারাপ হলে তা সারানোর দায়িত্ব সেই সাইকেল সংস্থার।”
কোভিড কারণে অনেক প্রকল্পের সুবিধাদান থমকে রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, যে প্রকল্পগুলির সুবিধা সরাসরি উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে দেওয়া যায়, আগামিকাল, বুধবার থেকে সেগুলি দেওয়া চালু করতে হবে। বাকি প্রকল্পগুলির সুবিধা সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকে দেওয়া শুরু হতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, এ বার থেকে বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের মাধ্যমে সরকারি পরিষেবার তথ্য উপভোক্তার কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।