জার্মানি থেকে অনলাইনে বঙ্গবিভূষণ সম্মান গ্রহণ করলেন অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসু। সোমবার। নিজস্ব চিত্র
জার্মানি থেকে সরাসরি ভিডিয়ো মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসু। তাঁকে ‘বঙ্গবিভূষণ’ স্বীকৃতি দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ‘‘এই সম্মান গ্রহণ করে আপনি আমাদের গর্বিত করেছেন। বাংলার অর্থনীতিকে উজ্জ্বল করার জন্য আপনি বাংলায় ফিরে আসুন। সারা বিশ্বে অনেক ঘুরেছেন, দেশেও অনেক কাজ করেছেন। একটু বাংলায় আসুন না, আমাদের প্রাণভরা আবেদন থাকল।’’ ধন্যবাদ জানিয়ে কৌশিক বলেন, ‘‘আমিও ভীষণ খুশি।’’
কোভিডকালে দু’বছরের বিরতির পরে সোমবার সন্ধ্যায় নজরুল মঞ্চে সম্পন্ন হল এ বছরের বঙ্গসম্মানের অনুষ্ঠান। তাতে উপস্থিত থাকতে না-পেরেও অন্যতম প্রধান আকর্ষণ ছিলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিজিৎবাবুর হয়ে বঙ্গসম্মান গ্রহণ করে তাঁর মা নির্মলা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমি এবং আমার পুত্রও গর্বিত। আমার ছেলেকে এই সম্মান মমতাদির ভালবাসার প্রতীক।’’ মুখ্যমন্ত্রীও বলেন, ‘‘অভিজিৎ এখানে এলে সব সময় বলেন, গরিব মানুষের জন্য কিছু কাজ করতে চাই। গরিব মানুষের কথা সব সময় ওঁর মাথায় ঘোরে। এটা বড় কৃতিত্ব। উনি লিভার ফাউন্ডেশনের অভিজিৎ চৌধুরীর সঙ্গে বোলপুরের গ্রামে ঘোরেন।’’ তাঁরা বঙ্গসম্মান পুরস্কারের টাকা অভিজিৎ চৌধুরীর প্রতিষ্ঠানের কাজে দান করবেন বলে জানান নির্মলাদেবী।
বিজ্ঞানী বিকাশ সিংহ, কলকাতা হাই কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য, প্রাক্তন মুখ্যসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়, শিল্পপতি রাধেশ্যাম গোয়েনকা, হর্ষ নেওটিয়া প্রমুখও পেলেন বঙ্গবিভূষণ। বঙ্গভূষণ পান দলিত সাহিত্যিক মনোরঞ্জন ব্যাপারী, মকাইবাড়ির চায়ের কর্ণধার রুদ্র চট্টোপাধ্যায়, এসএসকেএম হাসপাতালের ডিরেক্টর ডাক্তার মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায়, চিকিৎসক যোগীরাজ রায় প্রমুখ।মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গসম্মান শুধু বাঙালির নয়। এটা বিশ্ববাংলা চেতনার অঙ্গ। মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী জানান, কিছু দিন আগে অমর্ত্য সেন শান্তিনিকেতন থাকার সময় তাঁকেও বঙ্গবিভূষণ স্বীকৃতি দিতে ইচ্ছা প্রকাশ করে রাজ্য সরকার। তখন তিনি কোভিডে অসুস্থ। অমর্ত্যবাবু তখন সবিনয়ে জানান, বঙ্গসম্মান প্রদান অনুষ্ঠানের সময়টায় তিনি বিদেশে থাকবেন। তাই এ বছর রাজ্য সরকার যেন অন্য কোনও যোগ্য ব্যক্তিকে ওই সম্মান দেয়। সরকার নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের ইচ্ছাকে সম্মান করেছে বলে জানান মুখ্যসচিব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy