অনাহুত: চ্যাংরাবান্ধায় মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ে ঢুকে পড়ায় মারধর স্থানীয় যুবক আতাউর রহমানকে। ছবি: দীপেন রায়।
কখনও হেমতাবাদে মুখ্যমন্ত্রীর মঞ্চে উঠে পড়ছেন তরুণী। কখনও বোলপুরের সভামঞ্চে উঠে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করছেন এক ব্যক্তি। পশ্চিমবঙ্গে ভিভিআইপি-দের নিরাপত্তা বেষ্টনী ভাঙার সেই ‘প্রথা’ বজায় রইল মঙ্গলবারও। প্রথমে জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন গোশালা মোড়ে, তার পরে কোচবিহার জেলার চ্যাংরাবান্ধায়। দুপুরে মুখ্যমন্ত্রীর চলন্ত গাড়ির পাশে ছুটে তাঁর হাতে আবেদনপত্র ধরিয়ে দেন তৃণমূল কর্মী রাজেন রায়। বিকেলে সভা শেষে ফেরার মুখে চ্যাংরাবান্ধায় তাঁর কনভয়ে ঢুকে পড়ে এক স্থানীয় যুবক।
রাজেনবাবুর বিরুদ্ধে পুলিশ তখনই কোনও ব্যবস্থা না নিলেও চ্যাংরাবান্ধায় স্থানীয় যুবক আতাউর রহমানকে কর্তব্যরত এক পুলিশই মারধর করেন বলে অভিযোগ।
প্রথম ঘটনাটি দুপুরে। মুখ্যমন্ত্রী যাচ্ছিলেন চ্যাংরাবান্ধার দিকে। জলপাইগুড়ি সংলগ্ন গোশালা মোড়ের কাছে এসে দলীয় কর্মীদের ভিড় দেখে গতি কমায় কনভয়। সেই সময়ে নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে রাজেনবাবু এগিয়ে যান। গাড়ির সঙ্গে কিছুটা ছুটে চিঠিটা তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রীর হাতে।
মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ে সাইকেল নিয়ে ঢুকে পড়েন আতাউর রহমান। ছবি: সজল দে
দ্বিতীয় ঘটনাটি বিকেল সোয়া চারটে নাগাদ। সভা শেষে সবে মুখ্যমন্ত্রী রওনা দিচ্ছেন শিলিগুড়ির দিকে। এই সময়ে হঠাৎই সাইকেল নিয়ে কনভয়ে ঢুকে পড়ে আতাউর। তাঁর বাড়ি চ্যাংরাবান্ধাতেই। অভিযোগ, এক জন পুলিশ ওই সাইকেল আরোহী যুবককে মারধর করতে শুরু করেন। তাতেই ক্ষুব্ধ হয়ে কনভয়ের কয়েকটি গাড়ি আটকে দিয়ে বিক্ষোভে সামিল হন সাধারণ মানুষ। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠায় ওই পুলিশকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। কোচবিহারের জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “নিরাপত্তা আঁটোসাটো ছিল। আচমকা ওই সাইকেল আরোহী ঢুকে পড়ে। পরে অবশ্য আলোচনার মাধ্যমে তা মিটিয়ে নেওয়া হয়।” তবে এই দুই ঘটনায় রাত পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে যিনি তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন, সেই বীরেন্দ্রের আমলেও নিরাপত্তা বেষ্টনী ভাঙার ঘটনা ঘটেছে। তার বড় উদাহরণ, গত ফেব্রুয়ারিতে হেমতাবাদে মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠানমঞ্চে উঠে পড়েন এক তরুণী। সবে জুন মাসের গোড়ায় রাজ্য পুলিশের ডিজি-র দায়িত্ব নেন বীরেন্দ্র। তাঁর জায়গায় এখন মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা দেখভালের দায়িত্ব অজয় নন্দার। দেখা যাচ্ছে, পরিস্থিতি এখনও বদলায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy