পশ্চিমবঙ্গে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে রাজ্যের মানুষ বেশি গুরুত্ব পাবেন বলে বুধবার জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মালদহে এক সরকারি বৈঠকে মমতা প্রশাসনিক কর্তাদের এমনই নির্দেশ দেন যে, কর্মসংস্থান তৈরি হলে এই রাজ্যের ছেলেমেয়েরা যাতে অগ্রাধিকার পান সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। শুধু পশ্চিমবঙ্গেই নয়, সব রাজ্যেরই এমন নীতি গ্রহণ করা উচিত বলেই মন্তব্য করেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘আমি সব রাজ্যের জন্যই বলছি, সেই রাজ্যের ছেলেমেয়েরা যেন চাকরিটা পায়। বাংলা হলে বাংলার ছেলেমেয়েরা, যাঁরা এই রাজ্যে বসবাস করেন, তিনি রাজবংশী, কামতাপুরি বা হিন্দিভাষী হতে পারেন, তাতে কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু বাংলা ভাষা জানতে হবে, বাংলাকে তাঁর ঠিকানা হতে হবে।’’
শুধু বাংলায় থাকাই নয়, বাংলা ভাষার ব্যবহার জানা যে এই রাজ্যে চাকরির ক্ষেত্রে প্রাধান্য পাবে, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন মমতা। সরকার তথা প্রশাসনের কর্তারা বাংলায় চাকরি করলেও বাংলা না জানার ফলে কী ধরনের সমস্যা হচ্ছে, তাও স্পষ্ট করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে শুধু বাংলা, নয় দেশের সব রাজ্যেরই এমন নীতি গ্রহণ করে স্থানীয় ছেলেমেয়েদের সুবিধা দেওয়া দরকার বলে মন্তব্য করেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘ বিহারে বিহারের লোকেরা পাবে। তা না হলে বিহারের লোকেরা বিহারের সরকারকে ধরবে। উত্তরপ্রদেশে নিশ্চয়ই উত্তরপ্রদেশের লোকেরা পাবে। সব রাজ্যেই তার নিজেদের ছেলেমেয়েরা যেন কর্মসৃষ্টিতে কর্মটা পায়, তা নজর রাখতে হবে।’’
গত বিধানসভা নির্বাচনে বাংলা ও বাঙালি বিষয়কে সামনে রেখেই ভোট লড়েছিল তৃণমূল। বিজেপি নেতাদের ‘বহিরাহগত’ বলার পাশাপাশি গেরুয়া শিবিরের থেকে বাংলার সাংস্কৃতিক দূরত্বের কথা তুলে ধরে তৃণমূল। বিপুল জয়ের পরে মমতা বুধবার বুঝিয়ে দিলেন, সরকারি কাজের ক্ষেত্রে এ বার বাংলার ছেলেমেয়েদের অগ্রাধিকারের বিষয়টি নিশ্চিত করতে চাইছে তাঁর সরকার। তিনি বলেন, বাংলা ভাষা জানতেই হবে। সেই সঙ্গে চাকরিপ্রার্থীদের ঠিকানাও হতে হবে বাংলা।